যে বা যাঁরা যেতে পারবেন না, দলের অনুমতি সাপেক্ষে তাঁদের বলা হয়েছে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে হাজির থাকতে। দিল্লির কর্মসূচি লাইভ সম্প্রচার দেখানো হবে সব ব্লকে। ব্লকে হাজির থাকবেন বঞ্চিতরা। সন্ধ্যায় ব্লকে ব্লকে হবে প্রদীপ ও মোমবাতি নিয়ে মিছিল। এই কর্মসূচিতে থাকতে বলা হয়েছে সমস্ত সাংসদকে। দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৫০ লক্ষ চিঠি। সূত্রের খবর, হাতে লেখা সেই সব চিঠিতে লেখা থাকবে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা।
advertisement
১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রামীণ রাস্তায় কাজ করেও কতদিন অর্থ পাওয়া যায়নি তার উল্লেখ থাকছে চিঠিতে। এখনও পর্যন্ত ৩৮ লক্ষ চিঠি জমা হয়েছে তৃণমূলের দফতরে। সবচেয়ে বেশি চিঠি এসেছে দুই ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া জেলা থেকে। যন্তর মন্তরেই অবস্থান করবেন শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা।
রামলীলা ময়দানে ২ তারিখ শ্রদ্ধা জানাবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সহ বাকিরা। ৩ তারিখে কর্মসূচি পালনের অনুমতি না পেলে আগামী সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ের তথ্য পোস্টার-ব্যানার আকারে তুলে ধরা হবে দিল্লিতে। যন্তরমন্তর থেকে রামলীলা ময়দান বা কৃষি ভবন পর্যন্ত মিছিল করে যাওয়ার পরিকল্পনা। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী দেখা না করলে তাঁর দফতরের কাছাকাছি কর্মসূচি নেওয়া হবে।
আপাতত, স্থির হয়েছে আগামী কয়েকদিন দিল্লি নিয়ে সুর চড়াবে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যজুড়ে চলবে ব্যাপক প্রচার। যদিও বঙ্গ বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, দিল্লিতে কর্মসূচি করতেই পারে তবে তা করতে হবে পোস্টার-ব্যানার ছাড়া।