ভোটার তালিকায় কারচুপি ধরতে রাজ্য জুড়েই দলীয় স্তরে তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ জাতীয় নির্বাচন কমিশনেও তদ্বির করছে তারা৷ এরই মধ্যে এ দিন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা৷
আরও পড়ুন: মিথ্যে গল্প বলছে পাক সেনা? জাফর এক্সপ্রেসের ২১৪ জন পণবন্দিকেই হত্যা, চাঞ্চল্যকর দাবি বালোচদের
মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি, দুই বিধানসভা নির্বাচনেই সম্প্রতি বড় জয় পেয়েছে বিজেপি এবং তাদের সঙ্গীরা৷ সেই উদাহরণ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লোকসভার সাত মাস পরে দিল্লিতে বিধানসভা ভোট হয়েছে। ৪ লক্ষ ১২ হাজার নতুন ভোটার যোগ করেছে। মহারাষ্ট্রতে চার মাসের ব্যবধানে ৩৯ লক্ষ নয়া ভোটার যোগ করেছে। খুব ঠান্ডা মাথায় এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই সবাইকে বলছি অত্যন্ত সাবধানে, ঠান্ডা মাথায় সতর্ক হয়ে কাজ করবেন। ৭৮টি এমন বিধানসভা আছে মহারাষ্ট্রতে যেখানে ১৮ লক্ষ নতুন ভোটার যোগ হয়েছে। যার মধ্যে ৬৮টি বিধানসভায় বিজেপি জিতেছে। এটা কাকতালীয় হতে পারে না।’
advertisement
অভিষেক আরও বলেন, ‘অরবিন্দ কেজরীওয়াল চার হাজার ভোটে হেরেছেন। ওনার বিধানসভায় ৩৫ হাজার ভোটারের নাম বাদ গিয়েছিল। এটা ওরা (আম আদমি পার্টি) ভোটের পরে ধরতে পেরেছে। তার আগে কারচুপি করে ফেলেছে। আমরা কারচুপি ধরে ফেলেছি। এর আগে বাংলাকে টাকা দিয়েছে বলেছিল। কিন্তু যেই তথ্য প্রকাশ করতে বলেছি, সেটা পারেনি। বিজেপির প্ল্যান ২৫ লাখ ভোটারের নাম কেটে আরও ২৫ লাখ যোগ করার। বিজেপির পরিকল্পনা হচ্ছে ভোটার ২৫ লাখ বাদ দেবে। কমিশনে আমাদের দাবি কোন কোন নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেল আর কাদের নাম যোগ হল, সেই তালিকা বের করুন। সেটা করে না। আমরা কারচুপি ধরে ফেলেছি৷’
অভিষেক এ দিন জানিয়েছেন, ভোটার লিস্টে কারচুপি ধরতে এবার পূর্ণ সময়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস জেলায় জেলায় দুটি পদ তৈরি করছে৷ ব্লক ইলেকটোরাল রোল সুপারভাইজার এবং টাউন ইলেকটোরাল রোল সুপারভাইজার ও পঞ্চায়েত ইলেকটোরাল রোল সুপারভাইজার গঠন করা হবে। ভোটার তালিকায় কারচুপি ধরতে সারা বছর এই কর্মীরা কাজ করবেন৷
পাশাপাশি, রাজ্যের কোন কোন বুথে তৃণমূল খুব অল্প বা বেশি ব্যবধানে হেরেছে, সেগুলি চিহ্নিত করে হারের কারণ খুঁজে বের করার জন্য দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক৷