এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআই আদালতকে জানায়, ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যকে। তারপর তাঁকে হেফাজতে নেয় ED৷
আরও পড়ুন: সাগরে ফের নিম্নচাপের কালো মেঘ! শনিবার পর্যন্ত তুমুল বৃষ্টি, ভাসতে চলেছে এইসব জেলা
এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘‘আমার নির্দেশের পরেও আপনারা মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। তাঁকে দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন। আমার তো মনে হয় সিবিআই-এর আধিকারিক এবং মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশেই এই কাজ হয়েছে। আমার তো মনে হয়, সিবিআই আধিকারিকরাই মানিক ভট্টাচার্যকে বুদ্ধি দিয়েছিলেন যে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসুন, তাহলে আমরা গ্রেফতার করব না।’’ এখানেই শেষ নয়, এদিন রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যেও তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি৷
advertisement
এদিন সিবিআই আদালতকে জানায়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা পাওয়া গেছে৷ তা শুনে, ‘মাত্র!’ বলে বিস্ময়প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘‘বান্ধবীদের সন্ধান না পাওয়া গেলে তো আরও কিছু টাকা অধরা থেকে যেত৷’’
আরও পড়ুন: আর পাঁচ জনের সঙ্গেই চড়লেন ট্রেনে, মাদ্রিদ থেকে বার্সেলোনার পথে মমতা! দেখুন সেই ভিডিও
দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে পারে এমন একাধিক সন্দেহভাজন ব্যক্তির নামের একটি তালিকা এদিন আদালতে জমা দেয় সিবিআই। যা দেখে বিচারপতি বলেন, ‘‘এ তো সব মহাপুরুষ! এদের কবে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন? কবে করবেন? লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার পরে?’’ উত্তরে অবশ্য সিবিআই জানায়, কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বাকি রয়েছে৷ সেই প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে৷ এই তালিকায় বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি, কাউন্সিলর, বিধায়ক আছেন বলে জানিয়েছে সিবিআই৷
সব শুনে বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘আমি ছোটবেলায় একটা সিনেমা দেখেছিলাম, ‘হাম সব চোর হ্যায়’। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন, পাখির পালক দিয়ে হাওয়া করলে হবে না। নেতাদের এই বিপুল সম্পত্তি কোথা থেকে এল, এই প্রশ্ন কেউ তুলবে না? মানুষ এখন ভাবতে শুরু করেছে যে সুবিচার হবে না। কারোর কিচ্ছু হবে না। সবাই ভোট দাঁড়িয়ে ড্যাং ড্যাং করে জিতে যাবে। সবাই অপেক্ষা করছে আমি কবে অবসর নেব। এরা জানে না আমি অবসরে যাব না।’’