হাসপাতাল সূত্রে খবর, খেলতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছিল মালদহের বাসিন্দা চার বছরের রামিশা খাতুন। মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার পর এখানেই করা হল সেই অস্ত্রোপচার। রামিশার মা জানান, খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে যায় একরত্তি বাচ্চাটি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সব রিপোর্টের ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে রামিশাকে কলকাতায় নিয়ে আসার কথা বলা হয়।
advertisement
শিশুর মা জানান, "আমি এসএসকেএম হাসপাতালে প্রথমে তাকে নিয়ে যাই, তবে সেখান থেকে রেফার করে দেয়া হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজে। গত বুধবার সকালে কার্যত অজ্ঞান অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সেখানেই পেডিয়াট্রিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক কল্পনা দত্তের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন : রেলওয়েতে বিপুল পদে নিয়োগ! চাকরি পেতে কী যোগ্যতা প্রয়োজন? জানুন
চিকিৎসক জানান," আমরা তখন বাচ্চাটির এমআরআই করি। দেখি ওর মাথায় রক্ত জমে গিয়েছে। এইসব ক্ষেত্রে একটা আচমকা মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকেই। ফলে আমরা তৎক্ষণাত যোগাযোগ করি নিউরো বিভাগের সঙ্গে। নিউরো বিভাগের প্রধান চিকিৎসক কাঞ্চন সরকার চক্রবর্তী জানান," আমরা যখন বাচ্চাটিকে দেখি তখন একটি আচ্ছন্ন ভাব তার মধ্যে রয়েছে। ফলে তার ব্লাডের সমস্ত রিপোর্ট না আসা সত্ত্বেও আমরা সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন করার চিন্তাভাবনা করি। কারণ তার মাথায় রক্ত জমে গিয়েছিল। এবং সেই মতই তার অস্ত্র প্রচার হয় বর্তমানে বাচ্চাটি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে।"
আরও পড়ুন : প্রয়াত ‘জননী’র পরিচালক বিষ্ণু পাল চৌধুরী! চলছিল ফুসফুসের ক্যানসারের চিকিৎসা
গত সোমবার থেকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। ছাত্র সংসদের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা। যতক্ষণ না নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হচ্ছে ততক্ষণ অনশনরত অবস্থাতেই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অধ্যক্ষ সহ বিভাগীয় প্রধানদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। বুধবার বিক্ষোভ তুলে নিলেও এখনও জারি রয়েছে অনশনরত আন্দোলন।
প্রশ্ন উঠেছিল, এই অবস্থায় হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার কি হবে? এই জটিল অস্ত্রোপচার করে চার বছরের বাচ্চার প্রাণ বাঁচিয়ে সেই উত্তর দিয়ে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অনশনের মধ্যেও হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।