জেলের গেটের বাইরে এসে কেউ এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলেন আত্মীয়রা এসেছে কিনা! অনেকেই আত্মীয়দের সঙ্গে হাসি মুখে বাড়ি ফিরলেন। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এবার ১১ জন কয়েদিকে ছাড়া হয়েছে। নীলকান্ত পাল, বাড়ি হরিপাল থানার মোড়া গোপীনাথপুর গ্রামে। জেলে ঢোকার পর স্ত্রী আর কোনদিন খোঁজ নেয়নি। বছর পাঁচেকের একটি ছেলে ছিল। ছেলেকে নিয়ে স্ত্রীর বাপের বাড়িতে উঠেছিল। তারপর থেকে নীলকান্ত মৃত বলে তিনি সব জায়গায় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। নীলকান্তের বক্তব্য, বৃদ্ধা মা আছে। তাকেই তিনি সেবা করবেন। স্ত্রী বোধহয় অন্যের হয়ে গেছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Surya Gochar: রাত পোহালেই সূর্যের গোচর, একাধিক রাশির জাতক-জাতিকার জীবনে তোলপাড়
আরও পড়ুন - Weather Update: বৃষ্টির থেকে মুক্তি নেই এখনই, দিনের বিভিন্ন সময়ে কাঁপাবে বৃষ্টির দাপট, আজকের ওয়েদার আপডেট
দীপক সানি ছত্তিশগড়ের রায়পুরে বাড়ি। কলকাতায় বটতলা থানা এলাকায় স্কুল থেকে একটি বাচ্চা শিশুকে অপহরণ করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়।তারপর থেকে ৬ বছর জেল কাটিয়ে বাড়ি ফিরছে। এদিন মুক্তি পাওয়া এদের প্রত্যেকেরই কারও ছয় মাস থেকে এক বছর পরে জেল থেকে বেরোনোর কথা ছিল। জেলে ভাল কাজ ,ভাল ব্যবহারের জন্য কারা দফতর তাদের মুক্তি দেয় ।
ওড়িশার এক ব্যক্তি, তিনি খুনের মামলায় দশ বছরের বেশি জেল খেটেছেন। জেলের বাইরে যখন এলেন, তখন ব্যাগে মিষ্টি ফুলের তোড়া একটি শংসাপত্র ছিল।
ব্যাগটা হাতে নিয়ে হনহন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় ‘‘কোথায় যাবেন?’’ তিনি বললেন বাড়ির সবাই ত্যাগ করেছে। তিনি ওড়িশায় ফিরে যাবেন। কোথায় উঠবেন? কি করবেন? সেটা জানেন না। বললেন '‘বাইরে যদি ভালো না লাগে ,পুলিশকে বলবো আবার জেলে ফিরিয়ে দিতে।'’
SHANKU SANTRA