জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে তিনটি মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলেন ৩ আইনজীবী। পুনর্বিবেচনার আবেদনের ৩ আবেদনকারী হলেন কবিরুল ইসলাম, অজয় কুমার দে ও প্রমোদ ভার্মা। আর ৩ আবেদনকারীর আইনজীবী শুভঙ্কর নাগ, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ও রিজু ঘোষাল। ওই আবেদনে হাই কোর্ট যে ৩ সদস্যের কমিটি গড়েছে, তাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতির বিরোধিতা করা হয়েছে। বরং এর পরিবর্তে
advertisement
বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গড়ার আবেদন জানানো হয়েছে তিন মামলাতেই। মামলার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, সোমবার দুপুর ২টোর সময় শুনানি রয়েছে এই মামলার।
এর আগে মেলার অনুমতি দিলেও তার আয়োজনে হাইকোর্টের সব নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করে দেয় হাইকোর্ট৷ সেই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব বা তাঁর মনোনীত রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি৷
আরও পড়ুন: নাকা চেকিংয়ে থামল পরপর দুটি গাড়ি, ভেতর থেকে যা উদ্ধার হল, পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ
মেলায় হাইকোর্টের নির্দেশ সবদিক দিয়ে মানা হচ্ছে কি না, তা প্রতিদিন খতিয়ে দেখার কথা রয়েছে এই কমিটির সদস্যদের৷ কোনও শর্ত মানা না হলে অথবা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ততক্ষণাৎ মেলা বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে এই কমিটির হাতে৷ প্রসঙ্গত, বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন অভিনন্দন মণ্ডল নামে এক চিকিৎসক৷ হাইকোর্টের রায়ের পর তিনি অবশ্য বলেন, 'শর্তগুলি পূরণ করে মেলার আয়োজন করা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাবে।''এই পরিস্থিতিতে ফের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিন আবেদনকারী।