TRENDING:

Kali Puja 2024: ২১৬ বছরের অপার মাহাত্ম্য! ভক্তদের আয়োজনেই হয় পুজো-ভোগ, সাধক কমলাকান্তের কালীপুজোর ইতিহাস রোমহর্ষক

Last Updated:

Kali Puja 2024: আনুমানিক ২১৬ বছরের পুজো। আগে এখানে পাকা মন্দির ছিল না। পরে হয়েছে। মন্দির তৈরির সময়ে যখন মাটি খোঁড়া হয় তখন অনেক পোড়া কাঠ পাওয়া গিয়েছিল। সেখান থেকেই বোঝা যায় এখানে শ্মশান ছিল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতাঃ সকাল থেকেই মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেকেই হাতে করে নিয়ে আসছেন পুজোর উপকরণ। কেউ ফল, কেউ মিষ্টি, কেউ ফুল মালা, কেউ আবার অন্য কিছু। কারণ এই পুজো সম্পূর্ণভাবে চলে ভক্তদের দানের উপর। আজ থেকে নয়, কমলাকান্ত যখন পুজো করতেন তখন থেকেই নাকি এমনটাই হয়ে আসছে।
কালীপুজো ২০২৪
কালীপুজো ২০২৪
advertisement

মন্দির কমিটির এক উদ্যোক্তা বলেন, আজ যেখানে মন্দির সেখানে একটা সময় জঙ্গলে ঘেরা একটি শ্মশান ছিল। কমলাকান্ত সেখানেই সাধনা করতেন। কালীপুজোর সময় পুজোর অপেক্ষায় বসে থাকতেন কিন্তু পুজোর কোনও কিছুই থাকত না তাঁর কাছে। কিন্তু হঠাৎ করেই চলে আসত গরুর গাড়ি। আর তাতেই ভর্তি হয়ে থাকত পুজোর সব জিনিস। আজও সেরকম ভাবেই পুজো চলে আসছে। মূলত এই পুজো হয় দানের মাধ্যমে। ভক্তরা যা দান করে তার উপরেই সবকিছু। এখানে কোনও রকমভাবে চাঁদা নেওয়া হয় না, তবুও আমরা দেখি পুজোর দিন ভক্তরা সবকিছুই নিয়ে আসেন এবং পুজো হয়। পরের দিন ভোগ বিতরণ করা হয় কোনও কিছুরই অভাব হয় না। এই সবই যেন মায়ের লীলা।

advertisement

আরও পড়ুনঃ আর কিছুক্ষণ, ঠিক কখন লাগবে কালীপুজোর অমাবস্যা তিথি, থাকবে কতক্ষণ? কোন সময় সবচেয়ে শুভ? সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট

এবছর ভোগে থাকছে ১৫ রকমের ভাজা, পোলাও, মাগুর মাছ, খিচুড়ি, সবজি, এবং পায়েস। তিনি জানান, শুধু কালীপুজোর বা বিশেষ পুজোর সময়েই নয়, এখানে এভাবেই নিত্য পুজোও চলে। প্রতিদিনই এখান থেকে প্রসাদ পান বহু ভক্ত। মন্দির কমিটির সম্পাদক অলোক মল্লিক জানান, “আনুমানিক ২১৬ বছরের পুজো। আগে এখানে পাকা মন্দির ছিল না। পরে হয়েছে। মন্দির তৈরির সময়ে যখন মাটি খোঁড়া হয় তখন অনেক পোড়া কাঠ পাওয়া গিয়েছিল। সেখান থেকেই বোঝা যায় এখানে শ্মশান ছিল।”

advertisement

আরও পড়ুনঃ এই কচু দেখলেও পাশ কাটিয়ে যান তো? এই ভুল আর নয়…! এত উপকার জানলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও খাবেন নিশ্চিত

তিনি আরও বলেন, “এখানে শ্মশানের পাশে বাখা নদী ছিল। যা আজ দুরে সরে গিয়েছে। জঙ্গলের মধ্যেই এখানে পুজো করতেন সাধক কমলাকান্ত। মন্দির করার সময় এখানেই কমলাকান্তের সমাধির উপর মায়ের আসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উনি এক রাতের পুজো করতেন। পরের দিনই প্রতিমা বিসর্জন হত। পরবর্তী সময় এখানে স্থায়ী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। দশ বছর হল বেনারস থেকে কষ্টিপাথরের মূর্তি আনা হয়েছে। একটা সময়ে এখানে ছাগ বলিও হত। যদিও বছর কয়েক আগে সেই প্রথাও বন্ধ করা হয়েছে। তবে মাকে আমিষ ভোগ দেওয়া হয়। এছাড়াও কাল ভৈরবের পুজো এবং অন্নকূট উৎসব হয়।”

advertisement

UJJAL ROY

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kali Puja 2024: ২১৬ বছরের অপার মাহাত্ম্য! ভক্তদের আয়োজনেই হয় পুজো-ভোগ, সাধক কমলাকান্তের কালীপুজোর ইতিহাস রোমহর্ষক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল