পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে বালিকাকে নিয়ে যায় তার মা এবং মায়ের এক 'বন্ধু'। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বালিকার মা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান, বুকে ব্যথার জেরে বাড়ির বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। যেহেতু হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে তাই শনিবার ময়না তদন্ত করা হয় বালিকার দেহের।
advertisement
শনিবার ময়নাতদন্ত করার পরেই এই ঘটনা নয়া মোড় নেয়। 'ইনকনক্লুসিভ রিপোর্টে' ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক পুলিশকে জানিয়েছেন, বালিকার গলায় কালশিটে দাগ রয়েছে। তাঁদের সন্দেহ, শ্বাসরোধের জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই বালিকার। এমনকী, গলায় দড়িও পাওয়া গিয়েছে। তাই কীভাবে মৃত্যু সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে চান ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক। বালিকাকে খুনের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা।
এরকম সন্দেহজনক রিপোর্ট হাতে আসার পরই নিউ আলিপুর থানা ও লালবাজারের হোমিসাইড শাখা জোরকদমে তদন্তে নামে। শনিবার রাতেই ই-ব্লকের ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় বালিকার মা ও ওই বাড়িতে যাতায়াতকারী এক যুবককে।
পুলিশের প্রশ্ন, মেয়ের মৃত্যুর ব্যাপারে অসুস্থতার কারণ কেন দেখালেন মা? পাশাপাশি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বালিকার মা দাবি করেছেন, গত কয়েকদিন ধরেই ভুতুড়ে আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছিল ছোট্ট মেয়েকে। বিভিন্ন অলৌকিক দৃশ্য দেখতে পাচ্ছিল বলেও জানিয়েছিল সে। কিন্তু মায়ের দাবি করা এই ভুতুড়ে কথা কতটা সত্যি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে পুলিশ। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই কী ভুতুড়ে বিষয় সামনে আনছেন মা? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক। তারপরই তিনি কী রিপোর্ট দেন তার উপরেই নির্ভর করছে এই রহস্যমৃত্যুর ভবিষ্যত।
SUJOY PAL