পথনাটিকা পরিবেশনের মাধ্যমে এদিন প্রতিবাদ জানান উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। পাশাপাশি ‘হীরক রাজার দেশে’ এই নাটকটিও প্রতিবাদ হিসেবে পরিবেশন করেন তারা। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, রাজ্যের তরফে বারবার বলা হলেও নিয়োগ হচ্ছে না। আর তাই ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগের দাবি নিয়ে টানা ৫০ দিন ধরে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
advertisement
যদিও উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সুখবর দিয়েছে এসএসসি ইতিমধ্যেই। জানুয়ারি মাসের শেষেই উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের মেধা তালিকা হাইকোর্টে জমা দিচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এমনটাই জানিয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্য পদে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে। উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা নিয়ে গোড়া থেকেই সতর্ক হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আগেই জানিয়েছেন, ‘‘আমরা আশা করছি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা হাইকোর্টে জমা দিতে পারব। যদিও ওই সময় কিছু ছুটি রয়েছে। তবে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের চেকিং প্রায় শেষ মুহূর্তে চলে এসেছে।’’ সাম্প্রতিক সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠায় উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও সর্তকতা মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে এসএসসি।
আরও পড়ুন- পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, ফের প্রচার ও জনসংযোগে বঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী
একাধিকবার উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা কে চেকিং করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। শুধু তাই নয় টেটের ওএমআর শিটও চেকিং করেছে এসএসসি।প্রসঙ্গত গত ৪ নভেম্বর উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তারপর থেকেই উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা নিয়ে চেকিং প্রক্রিয়া শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অন্যদিকে সম্প্রতি উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে ফের শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। তৃণমূল ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এর সঙ্গে দেখা করেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ নিয়ে যাতে দ্রুত আদালতে প্যানেল পেশ করা যায় তার জন্যই চাকরিপ্রার্থীরা তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানান। সেই সময় চাকরিপ্রার্থীদের তরফে দাবি করা হয় তাদের সামনেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে ফোন করে নিয়োগের সম্পর্কে জানতে চান শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নিয়োগ নিয়ে কেন দেরি হচ্ছে সে বিষয়ে সম্পর্কেও জানতে চান চেয়ারম্যানের থেকে। যদিও চেয়ারম্যান শিক্ষামন্ত্রীকে জানান একটু সময় লাগলেও দ্রুত উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা হাই কোর্টে পেশ করা হবে কমিশনের তরফে।
যদিও শিক্ষামন্ত্রী চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন যাতে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা যায় ৷ সেই বিষয় নিয়ে আরও তৎপর হতে বলেই চাকরিপ্রার্থীদের দাবি। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের তরফে সুশান্ত ঘোষ বলেন ‘‘আমরা ৫০ দিন ধরে আন্দোলন করছি। আমরা চাই দ্রুত নিয়োগ হোক।’’ প্রসঙ্গত ২০১৪ সাল থেকে চলছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। নিয়োগের দাবিতে সম্প্রতি মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা।