প্রসঙ্গত গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই অষ্টম পর্যায়ে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যে একাধিক জেলার আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়াও শেষ করে ফেলেছে পর্ষদ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াকে শেষ করার জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় গতি এনেছিল পর্ষদ।এবার আরও একধাপ এগিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে ১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন- বিমান চালানোর সময় পানীয়-গুজিয়া খেয়ে বিপাকে দুই পাইলট ! আপাতত সাসপেন্ড
রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। লাগাতার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে আন্দোলন করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তার মাঝেই রাজ্যে ১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগকে স্বচ্ছ ভাবে করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একদিকে যেমন ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার, তেমনি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করার জন্য যারা ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তাদেরকে দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ। সেই ল্যাপটপের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার নম্বর সরাসরি তারা পাঠিয়ে দেবেন পর্ষদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আর কোনওভাবেই সেই নম্বরকে বদলানো সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন- শনিবার নিজ রাশিতেই প্রবেশ করতে চলেছেন শনিদেব! এই ৪ রাশির ভাগ্য হবে আলোর মতো উজ্জ্বল
শুধু তাই নয়। সেই চাকরিপ্রার্থী ইন্টারভিউতে কত নম্বর পেয়ে গেলেন সেটাও সঙ্গে সঙ্গে চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তবে শুধুমাত্র ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ভিডিওগ্রাফি নয়, এবার ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াকেও ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। প্রত্যেক প্রার্থী ধরে ধরে প্রক্রিয়াকে ভিডিওগ্রাফি করছে পর্ষদ। সেক্ষেত্রে সময় বেশি লাগলেও পর্ষদ আশা করছে, এপ্রিলের প্রথম দিকের মধ্যেই গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া পর্ষদ শেষ করে ফেলতে পারবে। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করার কয়েক দিনের মধ্যেই পর্ষদ প্যানেলও প্রকাশ করতে পারবে বলেই আশা প্রকাশ করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা।
যদিও পর্ষদ হাই কোর্টকে জানিয়েছে, তারা আপাতত ইন্টারভিউ নিচ্ছে। তবে এদিনের শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পরে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের কাছে যথেষ্ট ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়