এদিন তাঁর পর্যবেক্ষণে সরাসরি এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, "দশ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা করা হয়েছে, এদিকে চার লাখের কিছু কম ছাত্র এবার মাধ্যমিকে বসছে। এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কি প্রয়োজন? কী লাভ? এতে অর্থের অপচয় হচ্ছে।"
advertisement
বিচারপতি বসু আরও বলেন, "যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের কাছের অন্য স্কুলে পাঠিয়ে দিন।" "শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করুন।" স্কুল শিক্ষা দফতরকে এমনই পরামর্শ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। শিক্ষামন্ত্রীকে বলে স্কুল শিক্ষা দফতরকে আইনে বদল আনারও পরামর্শ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
বেশ কিছু মূল্যবোধের প্রশ্নও রাজ্যের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে রাখেন বিচারপতি তাঁর আজকের এজলাসে। তাঁর মন্তব্য, "সরকারি টাকায় নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ভাল কথা, কিন্তু নিজের স্কুলের সন্তানসম পড়ুয়াদের খেয়াল রাখছেন তো?
তাঁর আরও প্রশ্ন, "কোনও পড়ুয়াকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায়, সে আপনাদের কাছ থেকে কি শিখেছে ? সদুত্তর পাব তো? উত্তর আপনাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে তো?"
স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে বিচারপতির পরামর্শ, "একাধিক স্কুলে ৩০, ৩৫, ৫০ জন পড়ুয়া, অথচ দেখা যাচ্ছে ১০-১৫ জন শিক্ষক আছেন। অন্যত্র বদলি করুন তাঁদের। নিজের অধিকারের HRA, CL, PL, CCL চাইছেন, কিন্তু পড়ুয়াদের অধিকারের কী হবে?"
সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে বলেও মন্তব্য বিচারপতির। শিক্ষা দফতরকে তিনি বলেন, "এই সব স্কুল রেখে লাভ কী ? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। এটা না করতে পারলে পরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাটমুক্ত হবে না। কারণ নিয়োগের সময় এই সব স্কুলে শূন্যপদ দেখাবে। সেখানে নিয়োগ করতে হবে। আর তাতে সরকারি অর্থের অপচয় হবে।"