এর আগে ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল ঠিক এর উল্টো। প্রথমে শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হত। তার পর হত মেডিক্যাল টেস্ট। সবার শেষ ধাপে বসতে হত প্রবেশিকা পরীক্ষায়। এ-বার থেকে সবার আগে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ইসরো-এ ১০০টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ, ইন্টারভিউয়ের তারিখ কত? চাকরির জন্য আবেদন করুন
advertisement
এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার অগ্নিবীর সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে আরও ২১ হাজার বাহিনীতে যোগ দেবেন। নতুন নিয়ম ২০২৩-২৪ সালের পরবর্তী নিয়োগে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে ইচ্ছুক প্রায় ৪০ হাজার প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য হবে। এর আগে ছোট শহর থেকে ৫ হাজার এবং বড় শহর থেকে প্রায় ১.৫ লক্ষ প্রার্থী ‘অগ্নিবীর’-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
কেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বদল আনা হল?
সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, বিপুল প্রশাসনিক খরচ এবং পরীক্ষা দিতে আসা হাজার হাজার প্রার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক ব্যবস্থা বিবেচনা করেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক সেনা কর্তা বলেন, “আগের প্রক্রিয়ায় বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর স্ক্রিনিং করা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মীও মোতায়েন করতে হয়েছিল। প্রস্তুত রাখতে হয়েছিল মেডিক্যাল কর্মীদের।”
আরও পড়ুন: BSF-এ দেদার নিয়োগ! শুরু হয়ে গিয়েছে আবেদন প্রক্রিয়া, চাকরির জন্য জেনে নিন বিশদে
ওই সেনা অফিসার আরও বলেন, “নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিপুল প্রার্থী সমাবেশের জন্য হওয়া ব্যয় উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাবে। প্রশাসনিক ও লজিস্টিকের বোঝা কমবে।” এই প্রসঙ্গে আর এক সেনা কর্তা আবার বলেন, “বাহিনীতে আধুনিকীকরণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীতে বিশেষ প্রযুক্তির পরিকল্পিত অন্তর্ভুক্তি, বাহিনীতে অ্যাকাডেমিক ভাবে এক ঝাঁক দক্ষ সৈন্য রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।” তাঁর সংযোজন, “নতুন প্রক্রিয়ায় এই কারণেই প্রথমে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর এতেই প্রার্থীদের অ্যাকাডেমিক দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যাবে। যোগ্য প্রার্থীদের ফিটনেস পরীক্ষা এবং মেডিক্যাল টেস্টও নেওয়া হবে। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়াও অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।”