প্রসঙ্গত, এদিন গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ৯৫২ টি OMR Sheet এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ৯৫২ জন চাকরি প্রাপকের একাংশ। যে ৯৫২ টি OMR Sheet নিয়ে এখানে কথা হচ্ছে সেগুলি আসল OMR Sheet নয়, সেটা আদপে আসল OMR Sheet এর একটা প্রতিচ্ছবি(Mirror Image) মাত্র বলেই দাবি তোলা হয়। এই প্রতিচ্ছবিকে প্রাথমিক প্রামাণ্য নথি হিসাবে ব্যবহার করা যায় কিনা প্রশ্ন তোলা হয় তা নিয়েও।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ভাই, ভাইয়ের বউকে ভয় দেখিয়ে...!' বিজেপির বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ! বিধানসভায় বিস্ফোরক মমতা
OMR Sheet বিকৃতির ফলে চাকরিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আইনজীবী আদালতে সওয়ালে বলেন, "আদালত আপাতত এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিচ্ছে না। এই নথিকে হাতিয়ার করে আমাদের নিয়ে সিবিআই এবং কমিশন পিং-পং বলের মতো খেলছে। এই OMR গুলি ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়েছে কিনা কেউ জানে?" তাঁর আরও প্রশ্ন ছিল, এই OMR গুলি যদি গ্রহনযোগ্য না হয় তাহলে চাকরি বাতিল করবে কী ভাবে ?"
যেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেই নিজেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসছে না, সেখানে আপনাদের কি বলার থাকতে পারে?" পাল্টা প্রশ্ন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের। বিচারপতি আরও বলেন, "কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই সব পদক্ষেপ করছে না। আদালতের একাধিক নির্দেশের ফলে তারা এসব করছেন।"
অন্যদিকে OMR Sheet বিকৃতির ফলে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের আইনজীবীর আদালতে সওয়াল, "আদালতের নির্দেশের আগে তো কমিশন জানায়নি যে আমাদের সুপারিশ দিয়ে তারা ভুল করেছে।" পাল্টা এদিন আদালতে কমিশন জানায়, আইন অনুযায়ী কোনও আবেদনকারী বা কমিশনের তরফ থেকে কোনও ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে যেকোনও সময় সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করতে পারে কমিশন। সেটা নিয়োগপত্র পাওয়ার পরে হলেও কোন অসুবিধা নেই। এবং কমিশনের আইন অনুযায়ী এক্ষেত্রে আবেদনকারী বা চাকরিপ্রার্থী বা চাকরি প্রাপকদের বক্তব্য শোনার কোন প্রয়োজন নেই।
"আমাদের মামলায় যুক্ত করার আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। আমরা কোথায় যাব?" - প্রশ্ন OMR Sheet বিকৃতির ফলে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের আইনজীবীর। আমরা তদন্তের মাধ্যমে উঠে আসা সব নথি এবং তথ্য আদালতে পেশ করেছি, কমিশনকেও তা দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কোন কোন ক্ষেত্রে তা মামলাকারিদেরও দেওয়া হয়েছে। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে। আমরা চার্জশিট পেশ করেছি। নথি খতিয়ে দেখে আদালত এবং কমিশন পদক্ষেপ করছে। নথির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন অমূলক। - সওয়াল সিবিআইয়ের।
OMR Sheet বিকৃতির ফলে চাকরিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আইনজীবী সওয়ালে বলেন, "ইতিমধ্যেই ৯৫২ জনের তালিকা সংক্রান্ত হলফনামা আদালতে জমা দিয়েছে কমিশন। একসপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কালই আমাদের চাকরি চলে যেতে পারে। তখন কে শুনবে আমাদের কথা ? আমাদের কথা শোনা হোক। আমরা কমিশনের কাছে কোনও ভুল তথ্য দিইনি।"
৯৫২ জনের তালিকা নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী? - কমিশনকে প্রশ্ন বিচারপতি তালুকদারের। উত্তরে কমিশন জানায়, "সিবিআই এর দেওয়া নথি দেখে পরীক্ষা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে এগুলি বিকৃত করা হয়েছে। আমরা এদের তালিকা এবং OMR Sheet আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছি। আমাদের আইন অনুযায়ী আমরা সুপারিশ প্রত্যাহার করতে পারি। এর প্রেক্ষিতে আদালত আমাদের সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে।
"৯৫২ জনের একাংশ বলছেন যে এগুলি MIRROR Image. আসল নয়। তাই গ্রহণযোগ্য নয়। আপনাদের কি বক্তব্য?"- কমিশনকে প্রশ্ন আদালতের। উত্তরে কমিশন জানায়, "গোটা প্রক্রিয়াটাই তো ডিজিটাল। OMR Sheet তো digitally Scan করা হয়। মূল্যায়নকারি সংস্থা তো স্ক্যান করেই নম্বর মূল্যায়ন করেন এবং আমাদের পাঠান।"
এরপরেই বিচারপতির প্রশ্ন, "তাহলে কি ১৫ ফেব্রুয়ারি কারও চাকরি যাচ্ছে না?" ১৫ ফেব্রুয়ারি সম্ভবত কমিশনের তরফ থেকে ৮০৫ জনের তালিকা আপলোড করা হতে পারে এবং জানানো হয় পারে যে আপনাদের নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করা হবে। এর পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং শিক্ষা দফতরকে জানানো হবে। এটাই প্রক্রিয়া। - জানালেন কমিশনের আইনজীবী। এই ৯৫২ টি OMR Sheet যদি ওই ব্যক্তিদেরই হয়ে থাকে তাহলে মামলার কোনও পর্যায়েই এই ব্যক্তিদের বক্তব্যের কোন গ্রহনযোগ্যতা থাকতে পারে না। - প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ। জানালেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।