কমিশনের আধিকারিকরা মনে করছেন এর ফলে আরও কিছু চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসএসসির কাছে গোটা রিপোর্টও চলে এসেছে। তাই আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার হলফনামা দিয়ে জানানোর পর হাইকোর্ট কি নির্দেশ দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে থাকবে আপাতত স্কুল সার্ভিস কমিশন।
advertisement
অন্যদিকে এই উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের জন্য এসএসসি স্বতপ্রণোদিতভাবে তদন্ত করেছিল। সেই তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল পেশ করার আগে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফের নিয়োগ নিয়ে জটিলতা বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের জেরে স্কুল সার্ভিস কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের প্যানেল পেশ করার আগে এসএসসি-র তরফে নেওয়া টেটের ওএমআর শিট যাচাই করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘ভাই, ভাইয়ের বউকে ভয় দেখিয়ে...!' বিজেপির বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ! বিধানসভায় বিস্ফোরক মমতা
এখনও পর্যন্ত এস এস সি-র তরফে দুটি টেট নেওয়া হয়েছে। ২০১১-১২ এবং ২০১৫ সাল এই দুবার টেট নেওয়া হয়েছে এসএসসির তরফে। আর সেই যাচাই পর্বতেই একাধিক অসংগতি ধরা পড়েছে। কমিশন সূত্রে খবর ২০১৫-তে নেওয়া এসএসসি টেটে ওএমআর শিটে নম্বর নিয়ে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যেই যেসব চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য থেকেই একাধিক চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটের নম্বরেই ধরা পড়েছে এই অসঙ্গতি। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব চাকরি-প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া শেষ হয়েছে সেই সব চাকরি প্রার্থীদেরই টেটের ওএমআর শিট যাচাই পর্ব শুরু করে কমিশন।
সেই যাচাই পর্বের কাজ শেষ হওয়ার পরেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে এসএসসির কাছে। ২০১৫ নেওয়া টেটের যাচাই পর্বের কাজ শেষ হলেও ২০১১ বারের টেটের যাচাই পর্বের কাজ এখনও শেষ হয়নি। দাবি উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের জন্য যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্য থেকে ২০১৫ টেট দেওয়া প্রার্থীরা যেমন রয়েছেন তেমনি রয়েছেন ২০১১-১২ তে দেওয়া টেট প্রার্থীরাও। তাই দুটি টেটের ওএমআর শিট যাচাই করা হচ্ছে এসএসসির তরফে। আর এই যাচাই পর্বতে অসঙ্গতি উঠে আসায় উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কমিশন সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই ইন্টারভিউ নেওয়া চাকরি-প্রার্থীদের মধ্য থেকে যেসব চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিটের নম্বরে অসংগতি ধরা পড়েছে গোটা তথ্যই হাইকোর্টে হলফনামা আকারে জমা দিতে চলেছে কমিশন।ফেব্রুয়ারি মাসে মাঝামাঝি হাইকোর্টে জমা দেবে কমিশন।যদিও ওএমআর শিটের নম্বরে অসঙ্গতি ধরা পড়া নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আগেই সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন "আমাদের তরফে ওএমআর শিটের যাচাই পর্বের কাজ চলছিল বলেই উচ্চ প্রাথমিকের প্যানেল হাইকোর্টে পেশ করতে সময় লাগছিল। সেই যাচাই পর্বের ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে প্রায়। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি আমরা হাইকোর্টে হলফনামা আকারে জমা দেব। হলফনামাতেই আমরা যা জানানোর জানাব।" গত ৮ বছর ধরে চলছে এসএসসি উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্য পদ রয়েছে এই নিয়োগের জন্য। তবে এসএসসির যাচাই পর্বতে ওএমআর শিটের নম্বরে অসঙ্গতি তথ্য উঠে আসায় এই নিয়োগে নতুন করে কোন জটিলতা তৈরি হবে না তো? এমনটাই এবার আশঙ্কা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়