চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর, এই প্রক্রিয়ায় ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হওয়া সুনিশ্চিত। এই কর্মসংস্থান অভিযান ২২ অক্টোবর সকাল ১১ টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে নতুন চাকরিপ্রাপ্ত ৭৫ হাজার লোকের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এই অনুষ্ঠানে সদ্য কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়াদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানান হয়েছে।
advertisement
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "তরুণদের জন্য চাকরির সুযোগ প্রদান এবং নাগরিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্রমাগত প্রতিশ্রুতি পূরণের দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।" প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে, সমস্ত মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ মিশন মোডে চলে গিয়েছে। অনুমোদিত পদের বাকি পদ দ্রুত পূরণের জন্য কাজ করছে, বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনে চাকরি, কারা আবেদন করতে পারবেন?
সারাদেশ থেকে নির্বাচিত নতুন চাকরিপ্রাপ্তরা সরকারের ৩৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগে যোগদান করবেন। সদ্য নিযুক্তরা বিভিন্ন স্তরে সরকারে যোগদান করবেন যেমন, গ্রুপ – এ, গ্রুপ – বি (গেজেটেড), গ্রুপ – বি (নন-গেজেটেড) এবং গ্রুপ – সি। ইনস্পেক্টর, কনস্টেবল, এলডিসি, স্টেনো, পিএ, ইনকাম ট্যাক্স ইন্সপেক্টর, এমটিএস এমন অনেক পদ থাকছে।
এই নিয়োগগুলো মিশন মোডে মন্ত্রক এবং বিভাগগুলি নিজের দ্বারা বা নিয়োগকারী সংস্থা যেমন এউপিএসসি, এসএসসি, রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে করা হচ্ছে৷ দ্রুত নিয়োগের জন্য, নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে এবং প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। জুন মাসের শুরুতে, প্রধানমন্ত্রী মোদি সমস্ত কেন্দ্রীয় বিভাগ এবং মন্ত্রকগুলিতে মানব সম্পদের অবস্থা পর্যালোচনা করেছিলেন এবং নির্দেশ দিয়েছিলেন যে সরকার আগামী দেড় বছরে মিশন মোডে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবে।
আরও পড়ুন: বড় খবর! ১১ হাজারেরও বেশি শূন্য পদ, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ থেকেই
গ্রুপ এ (গেজেটেড) বিভাগে ২৩৫৮৪ টি শূন্য পদ, গ্রুপ বি (গেজেটেড) ২৬২৮২ টি, গ্রুপ বি (নন-গেজেটেড) ৯২৫২৫ টি এবং গ্রুপ সি (নন-গেজেটেড) ৮.৩৬ লাখ শূন্য পদ রয়েছে। শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেই ৩৯৩৬৬ টি গ্রুপ বি (নন-গেজেটেড) এবং ২.১৪ লক্ষ গ্রুপ সি পদ খালি রয়েছে। রেলের ২.৯১ লক্ষ গ্রুপ সি পদ রয়েছে এবং গৃহ মন্ত্রানালয়ে ১.২১ লক্ষ গ্রুপ সি (নন-গেজেটেড) পদ খালি রয়েছে।
মনে করা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে দেশের বেকার যুবকদের বেকারত্বের সমস্যার সুরাহা হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর তার শুভ সূচনা হতে চলেছে ২২ অক্টোবর সকাল ১১ টায়।