তার আগে ওই প্রশ্নপত্র খোলার সুযোগ থাকবে না। এর জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থী পিছু আলাদা আলাদা করে প্রশ্নপত্র তৈরি করছে পর্ষদ বলেই সূত্রের খবর। সেই প্রশ্নপত্র উত্তর করার পর পরীক্ষার্থীরাই তা সিল করে জমা দিয়ে দেবেন। অর্থাৎ পরীক্ষার্থী ছাড়া ঐ প্রশ্নপত্র দেখার বা রাখার সুযোগ অন্য কারো হাতেই থাকছে না বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। মূলত প্রশ্নপত্র গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্যই পর্ষদের তরফে এমনটাই পরিকল্পনা বলেই জানা গেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নজরে দিল্লির বৈঠক, অবশেষে সমস্যা মিটিয়ে সুখবরের আশায় রাজ্য
যদিও এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইনি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। প্রসঙ্গত আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট। প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে চলেছে। সেক্ষেত্রে কয়েক হাজার পরীক্ষা কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে পর্ষদ। শীঘ্রই নবান্নের শীর্ষ মহলের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বৈঠক করতে পারে পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা কে কেন্দ্র করে। পর্ষদ সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা পেয়ে গেছে পর্ষদ। পরীক্ষা কেন্দ্র ধরে ধরে তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হতে শুরু করেছে। এই নিরাপত্তাম মূলক পদক্ষেপগুলি কিভাবে কার্যকরী করা হবে তার জন্য পর্ষদের তরফে দেওয়া হবে বিশেষ গাইডলাইন।
আরও পড়ুন: 'এই জ্ঞান থাকা উচিত!' মমতাকে বামেদের থেকে শেখার পরামর্শ বীরভূমের তৃণমূল নেতার
প্রাথমিকের টেট নিয়ে বিশেষ সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরে ও নিরাপত্তা নিয়েও বিশেষভাবে সতর্ক পর্ষদ। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স অর্থাৎ ফেস স্ক্যান,সই স্ক্যান এর পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে থাকবে ভিডিও রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক সময় প্রাথমিকের নিয়োগ ও টেট দুই কে কেন্দ্র করে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আর তার জন্য এবার প্রাথমিকের টেটকে কেন্দ্র করে বিশেষ সতর্ক পর্ষদ।