পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, আগামী ২৬ মে এই প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ১৫তম পর্যায়ে ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়া কার্যত শেষ। অর্থাৎ জেলাভিত্তিক আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১১ হাজারেরও বেশি শূন্যপদ রয়েছে এই নিয়োগের জন্য।
আরও পড়ুনঃ বাবা সবজি বেচেন, সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, জেলায় প্রথম বিপ্রর ভবিষ্যৎ কী!
advertisement
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মে মাসের মধ্যেই ১১ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। তবে পর্ষদ সূত্রে খবর, গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে জুন মাস হয়ে যাবে। ১৬তম পর্যায়ে ইন্টারভিউ নেওয়ার পর আরও কিছু সংখ্যক প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া বাকি থাকবে। সেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া জুনের প্রথম দিকেই শেষ করে নেওয়া সম্ভব বলে দাবি পর্ষদের। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল অবশ্য জানিয়েছেন “আমরা গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপরই নজর রাখছি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথমদিকে মে মাসের মধ্যেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করে প্যানেল প্রকাশ করতে চাইলেও সেই সময়সীমা কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার জন্য এ বার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ।
মূলত গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াকে ভিডিওগ্রাফি করার পাশাপাশি প্রত্যেক পরীক্ষককে পৃথক পৃথক ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। যে ল্যাপটপের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর তারা অনলাইনে দিয়ে দেবেন। ফলে সেই নম্বরের সংশোধন বা ম্যানুপুলেশন করার সুযোগ থাকছে না বলেই দাবি পর্ষদের। সেক্ষেত্রে গোটা প্রক্রিয়াটি দ্রুত করা যাবে বলেও দাবি পর্ষদের। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াতে যোগ দেওয়ার জন্য কি কি তথ্য আনতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়