প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় রোজগার মেলার সঙ্গে দেশের ৪৫টি স্থান সংযুক্ত হয়েছিল। জন সমাবেশে ভাষণ প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী বৈশাখী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। নিয়োগপত্র লাভের জন্য প্রার্থীদের ও তাঁদের পরিবারবর্গকে তিনি অভিনন্দন জানান। উন্নত ভারতের সংকল্প অর্জনের উদ্দেশ্যে যুব সমাজের প্রতিভা ও শক্তির জন্য উপযুক্ত সুযোগ প্রদানে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দ্বারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চতুর্থ ‘রোজগার মেলা’ গুয়াহাটি, শিলিগুড়ি ও ডিমাপুরে অনুষ্ঠিত হয়। গুয়াহাটির মালিগাঁওয়ে গুয়াহাটির সাংসদ কুইন ওজা ও বরিষ্ঠ রেলওয়ে আধিকারিকদের উপস্থিতিতে নব নির্বাচিত প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌ পরিবহণ ও জলপথ এবং আয়ুষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
advertisement
পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক এবং শ্রম ও নিয়োগ মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি ডিমাপুরে প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রকের রাজ্য প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিক শিলিগুড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের মধ্যে নিয়োগপত্র বিতরণ করেন। বিভিন্ন বিভাগে ৭১,০০০-এর অধিক নিয়োগপত্র অর্ডারের মধ্যে ৫০,০০০-এর অধিক রেলওয়ের, যেখানে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে ২৮৯০ নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। গুয়াহাটিতে ভাষণের সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তরুণদের অভিনন্দন জানিয়ে আত্মনির্ভর ভারত তৈরি করার জন্য তাঁদের নিষ্ঠার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া রোজগার মেলা আয়োজনের জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েকেও তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। নিয়োগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ করার একটি পদক্ষেপ হল এই রোজগার মেলা। রোজগার মেলা আরও নিয়োগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে এবং যুব সমাজের ক্ষমতায়ন ও তাদের জাতীয় উন্নয়নে অংশগ্রহণের জন্য অর্থবহ সুযোগ প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।