বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়ায় ১৮০০ পাইলট কর্মরত। ২৭ এপ্রিল ১০০০ পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এ৩২০, বি৭৭৭, বি৭৮৭ এবং বি৭৩৭ ফ্লিট ক্যাপ্টেন, ফার্স্ট অফিসার এবং প্রশিক্ষক পদে আবেদন চাওয়া হয়।
এয়ার ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের শেষের দিকে পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞাপনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া মিলেছে। তাঁর কথায়, ‘৪৭০টি বিমানের জন্যে পাইলট নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। গত কয়েকদিনে ৭০০টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে। মুম্বই, দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়েছে ওয়াক ইন ইন্টারভিউ’।
advertisement
জানা গিয়েছে, গো ফার্স্ট-এর বহু পাইলট স্বেচ্ছাবসর নেন। তাঁদের অনেকেই এয়ার ইন্ডিয়ায় আবেদন করেছেন। প্রসঙ্গত, টাটা গ্রুপের চারটি এয়ারলাইন রয়েছে – এয়ার ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, এআইএক্স কানেক্ট এবং ভিস্তারা, যা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগ। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং এআইএক্স কানেক্টের পাশাপাশি ভিস্তারাকে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে একীভূত করে নতুন সংস্থা তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ক্লার্ক-কাম-রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ; জানুন বিশদে!
আরও পড়ুন: ফ্রেশারদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ! প্রায় ৪০ হাজার নিয়োগের করার কথা ঘোষণা টিসিএসের
প্রসঙ্গত এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং এবং এয়ারবাস থেকে ৪৭০টি বিমানের অর্ডার দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বড় আকারের বিমান। বোয়িং-এর সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার অর্ডারের মধ্যে রয়েছে ২১০ এ৩২০/৩২১ নিও এক্সএলআর এবং ৪০ এ৩৫০-৯০০/১০০০ বিমান। একই সময়ে, এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং থেকে ১৯০ ৭৩৭ -ম্যাক্স, ২০ ৭৮৭ এস এবং ১০ ৭৭৭ বিমানের অর্ডার দিয়েছে।
এর আগে, বোয়িং ৭৭৭ এবং ৭৮৭ বিমান চালানোর জন্য এয়ার ইন্ডিয়া মাত্র ৮ জন পাইলটকে প্রশিক্ষণ দেয়। যার মধ্যে ৭৭৭ চালানোর জন্য ৪ জন পাইলট এবং ৭৮৭ উড়ানোর জন্য অন্য চারজন। যাই হোক, সিভিল এভিয়েশনের মহাপরিচালক এখন মাল্টি-সিট ফ্লাইং (এমএসএফ) প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে একজন পাইলট দুই ধরনের বিমান চালাতে পারেন, যার জন্য প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াটি একটু কঠিন করা হবে। ডিজিসিএ-এর এই অনুমোদনে উপকৃত হবে পাইলটরা। পাইলটদের ক্রস ব্যবহার সহায়ক হবে উড়ানে। এর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্যও সহায়তা পাওয়া যাবে।