প্রসঙ্গত, লাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা প্রায় নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলমন্ত্রক যে জোন গুলিকে উল্লেখ করেছে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও উত্তর সীমান্ত যেমন আছে তেমনই দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তও রয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাঁশতলা স্টেশনের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তিনটি হাতির। যার মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক, দুটি হাতির শাবকের।
advertisement
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! রেললাইনে ছিল তিনটি হাতি, রাতের আঁধারে ছুটে এল এক্সপ্রেস ট্রেন!
স্থানীয় সূত্রে খবর রাত একটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম থেকে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস খড়গপুর যাওয়ার সময় বাঁশতলাতে হাতি তাড়াচ্ছিলেন বন দফতর ও হুলা পার্টির সদস্যরা। সেই সময় একটি বয়স্ক হাতি ও দুটি শাবক হাতি বাঁশতলা স্টেশনের পরেই রেল লাইনের উপরে উঠে যায়, যার ফলে মুহূর্তেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। দ্রুত গতিতে আসা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনটি হাতির। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় বনদপফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও রেল আধিকারিকরা। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।
আরও পড়ুন: নিপুণ হাতে একের পর এক ধান আটকে দেবী কালীর অলঙ্কার তৈরি করছেন এই গ্রামের মহিলারা
ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর পর তার সঙ্গীরা ফের সকালে রেললাইনে উঠে আসে। ৪ হাতি দাঁড়িয়ে থাকার ফলে আটকে পড়ে আপ ও ডাউন লাইনের লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনে থাকা যাত্রীরা, ট্রেন থেকে নেমেই ক্যামেরাবন্দি করতে থাকে হাতির ছবি। পুনরায় সেই হাতি গুলিকে রেল ও পুলিশ বনদফতরের কর্মীরা জঙ্গলে ফেরায়।