পেট চালাতে বা পড়াশোনা বাঁচিয়ে রাখতে অবসর সময়টুকু সে দিয়ে গেছে চায়ের স্টলে। শুনতে অবাক লাগলেও চায়ের দোকান চালিয়ে বাবা মা কে সাহায্য করে বড় সাফল্য এনে সে দেখিয়ে দিয়েছে জীবনে কিছু করতে গেলে প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেও কি ভাবে লড়াই করা যায়।
রেখাদের বাড়ি জলপাইগুড়ির রানীনগরের বক্সীপাড়া এলাকায়। সেখানেই মা বাবার সাথে সে থাকে। বাবা মা দু জনেই বেরিয়ে যাওয়ায় তাকে পড়ার পাশাপাশি ঘরের কাজ ও সামলাতে হয়। তার পর স্কুলের ফাকে চায়ের দোকানে এসে সে লেগে পড়ে। এভাবেই সে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছিনিয়ে নিয়েছে ৫৭৩ নম্বর। তবে স্কুলের কাছ থেকে সে সাহায্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমকে।
advertisement
আরও পড়ুন: খেলার মাঠ নেই, পড়ুয়াদের জন্য ১০ বিঘা জমি দান ২৬ চাষীর
তার কথায়, যে নম্বর পেয়েছি তাতে আমি সন্তুষ্ট নই। আরো ফল আশা করছিলাম। তবে সকলে আমার এই রেজাল্টে খুশি। স্কুল থেকেও অনেক সাহায্য পেয়েছি। নিজে কষ্টের মধ্যে পড়াশোনা করেও বিদ্যালয়ের সেরা নম্বর এ বছর এনে দিয়েছে সে।মেধাবী এই ছাত্রীর বাবা বিনয় রায়ের হাইরোডের পাশে একটি ছোট্ট দোকান রয়েছে। তিনি জানান, আমার আর্থিক অবস্থা কিছুই নেই। মেয়ে এখন বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। কেউ যদি সাহায্য করে তবে বড় ভালো হয়।
আরও পড়ুন: মিজোরামে ভয়াবহ বাড়ছে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু, মৃত ৫ হাজার শূকর! নিধন চলছে আরও...
রেখা সময় পেলেই পড়াশোনা করার পর সেই চায়ের দোকানে দোকান সামলায়।বাকি সময়ে পড়াশোনা করে রেখা।তার ইচ্ছা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার।কিন্তু পড়াশোনা করার মতন তেমন ভাবে অর্থনেই তার বাবার।তাই কেউ কিছু সাহায্য করলেও দুই হাত তুলে এমন টাই আবেদন রেখেছেন।
গীতশ্রী মুখার্জী
