মাল থেকে গাজোলডোবা যাওয়ার তিস্তা ব্যারেজ লিঙ্ক রোড একটি রাজ্য সড়ক। মালবাজার থেকে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি যাওয়ার বিকল্প রাস্তাও এটি। ওদলাবাড়ির ধুমসিগাড়া থেকে গজলডোবা ১০ নাম্বার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তার হাল সবচেয়ে খারাপ। ফলে ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। তারঘেরা রেঞ্জের গজলডোবা বিটের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে এই রাস্তা। সেই জঙ্গল এলাকার রাস্তাও ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে এই রাস্তা দিতে যেতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। কারণ জঙ্গল এলাকায় হাতির ভয়, আর অন্যদিকে রাস্তার কারণে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা। তাছাড়া এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ কোন বন্যপ্রাণী তাড়া করলে তাড়াতাড়ি যে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাবে, খারাপ রাস্তার কারণে তারও সুযোগ প্রায় নেই। তাছাড়া স্থানীয়রা জানালেন, বর্ষাকালে জল জমে এই রাস্তা কার্যত পুকুরের চেহারা নেয়!
advertisement
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় জোরকদমে চলছে হাম ও রুবেলা ভ্যাকসিনেশন, লক্ষ্য শিশুদের রক্ষা করা
তবে সব থেকে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে গজলডোবা ১০ নম্বর কলোনি এলাকায়। এখানে একটি হাইস্কুল ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। খারাপ রাস্তার কারণে গাড়ি গেলেই ধুলো-বালি উড়ে স্কুলের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিপদ হল এই দুই স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না করা খাবারও আজকাল রাস্তার ধুলোয় ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। বই খাতা টেবিল চেয়ার বেঞ্চ সবকিছুতে প্রতিমুহূর্তে ধুলো কিচকিচ করছে!
এই রাজ্য সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকারাও যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছেন। কারন যখন তখন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে যেতে পারে। এই রাস্তা সরাইয়ের দাবিতে বেশ কয়েকবার এলাকার মানুষ পথ অবরোধ করেছেন, কিন্তু লাভ কিছু হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সঠিক উপকরণ দিয়ে রাস্তা তৈরি হয় না। সস্তার খারাপ দ্রব্য দিয়ে রাস্তা সারাইয়ের ফলেই দু'দিনের মধ্যেই তা খাটালে পরিণত হয়!
সুরজিৎ দে