মিলনদা-র ক্যান্টিনের ব্যবসা শুরু ১৯৭২ সালে ৷ সবেমাত্র বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসে সেসময় কাজ খুঁজছিলেন মিলন দা ৷ ইচ্ছে ছিল ব্যবসা করার ৷ মাথা গোঁজার জায়গা পেতেই যেখানে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ব্যবসা করা তো স্বপ্নের ব্যাপার ছিল ৷ কিন্তু প্রচুর পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের উল্টোদিকে একটা বাসস্ট্যান্ডে রাতের পর রাত ঘুমিয়ে নিজের ক্যান্টিনকে দাঁড় করিয়েছেন মিলনবাবু ৷ অনেক অসুবিধাতেও হাল ছাড়েননি তিনি ৷
advertisement
চা-বিস্কুট দিয়ে শুরু ৷ এরপর পাউরুটি দিয়ে ‘ঢপের চপ’-এর মতো সুপারহিট আইটেম বানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা জমিয়ে ফেলেন সবার প্রিয় মিলন দা ৷ ১৯৭৫ সালে তৎকালীন উপাচার্য শঙ্কর সেন তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি জেনারেটর রুমের পাশে জায়গা দেন ৷ সেখানেই আরও ভালভাবে চালু করেন ক্যান্টিন ৷ যতো দিন গিয়েছে আইটেম সংখ্যাও বেড়েছে ক্যান্টিনে ৷ মিলন দা-র অনুপস্থিতিতে একাই ক্যান্টিন সামলেছেন তাঁর স্ত্রী ৷ মিলন দা-র দুই ছেলের এক জন ইঞ্জিনিয়ার এবং অপরজন শিক্ষকতা করেন ৷ ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে শুরু করে অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, সবার প্রিয় মিলন দা আজ আর নেই ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিজি আর্টস বিল্ডিংয়ের সামনে তাঁর ক্যান্টিনে ‘মিলন দা একটা চা....’, ‘খাবারে আজ কী আছে মিলন দা....’ এই কথাগুলো আর শোনা যাবে না ৷