সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে চলতে থাকা এই নৈরাজ্যের জন্য সরাসরি মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করেছেন মহিবুল। কট্টরপন্থী মনোভাবকে সামনে রেখেই এই চরম বিশৃঙ্খলা চলছে বলে জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ওসমান হাদির মৃত্যুকে নির্বাচনের আগে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে নির্বাচনের কাজ বিঘ্নিত হয় এবং বিলম্ব হয়। ভারতীয় দূতাবাসে হামলা পরিকল্পিতভাবে ভারতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা এবং অশান্তি পাকানোর চেষ্টা।”
তিনি আরও বলেন, “ওসমান হাদির সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের কী সম্পর্ক? তাঁরা চাইছেন যাতে ভারতীয় দূতাবাস এই দেশে বন্ধ হয়ে যায়। এবং ইউনুস সরকার জনতাকে উত্তেজিত করতে মদত দিচ্ছে। বাংলাদেশে এখন যা পরিস্থিতি তাতে অন্তর্বর্তী সরকার জনতাকে মদত দিচ্ছে। এবং সেনা ও পুলিশকে চুপ থাকতে বলছে।”
শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভার সদস্য মহিবুল মৃত ওসমান হাদিকে কট্টরপন্থী বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “ওসমান হাদি একজন কট্টরপন্থী ছিলেন যে সবসময় রক্ত ঝরানোর কথা বলত। আর সেটাকেই কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কট্টরপন্থী দলগুলিকে গোটা দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর কাজ করছেন ইউনুসের সরকার। তাঁর প্রধান লক্ষ্যই হল নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া। ভারতীয় কমিশনে হামলার ঘটানো হয় যাতে দিল্লি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে।”
