শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধের জারি হয়েছে বাংলাদেশজুড়ে। এই বিধিনিষেধে সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহণও। নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব-সহ সমস্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত লাগু থাকবে ‘সবচেয়ে কঠোরতম’ বিধিনিষেধ। সংবাদমাধ্যমকে এই লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ রুখতে এই ক্ষেত্রে ভারতের দিল্লি ও মুম্বইয়ের সাফল্যের চিত্র দেখেই ‘সবচেয়ে কঠোরতম’ লকডাউনের পথে হেঁটেছে হাসিনা (Sheikh Hasina) প্রশাসন।
advertisement
যদিও দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের ফলে মৃত্যু কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত) করোনায় মারা গিয়েছেন ১৬৬ জন। মৃত্যুর এই সংখ্যা গত ১৭ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে করোনার ডেল্টা প্রজাতি থাবা বসিয়েছে। এই প্রজাতির দাপটে গত ৭ জুলাই প্রথম দৈনিক মৃত্যু ২০০ ছাড়িয়েছিল। এরপর থেকে গত ২০ জুলাই পর্যন্ত অধিকাংশ দিন মৃত্যু ছিল ২০০-এর উপরেই ছিল। গত ১৯ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ২৩১ জনের মৃত্যু ঘটেছিল ওপার বাংলায়। গত তিন দিন ধরে মৃত্যু অবশ্য ২০০-এর নীচে রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি মোটেই সুখকর নয়। তাই সেনাবাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।