প্রসঙ্গত, বিদায় বেলায় ইতিমধ্যেই চিনের ওপর আবারও চড়াও হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। চিনা আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সামরিকভাবে ব্ল্যাকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে আছে অন্যতম বিখ্যাত স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমি। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আমেরিকা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হংকংভিত্তিক সংবাদসংস্থা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৪টি চিনা প্রতিষ্ঠানকে ব্ল্যাকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার প্রশাসনের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে চিনের সামরিক বাহিনীর। অপরদিকে, চিনা সামরিক বাহিনীর মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাওমি। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শাওমি চিনা সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন নয়, বা এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি কোনো 'কম্যুনিস্ট চাইনিজ মিলিটারি কোম্পানি' নয়।
advertisement
আমেরিকায় সামরিকভাবে ব্ল্যাকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমি এবং চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন অফ চায়না (কোমাক)। এছাড়া চাইনিজ ন্যাশনাল ওভারসিজ অয়েল করপোরেশন নামের প্রতিষ্ঠানকে ব্ল্যাকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করেছে আমেরিকার বাণিজ্য বিভাগ।
এই প্রসঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তা কেইথ ক্র্যাচ বলেন, আর কোনও প্রতিষ্ঠানকে এই তালিকাভুক্ত করার সম্ভাবনা নেই। চিনের টেক জায়ান্ট আলিবাবা, টেনসেন্ট ও বাইদু দেশটির সামরিকবাহিনীর কাছে ‘হাইলি স্ট্র্যাটেজিক’ হওয়া সত্ত্বেও এগুলোকে ব্ল্যাকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা নেই।
সূত্রের খবর, আলিবাবা, টেনসেন্ট এবং বাইদুকে ব্ল্যাকলিস্ট করার পরিকল্পনা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে চিনের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ভিসার ওপর কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।