ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পরও শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান। বুধবার সকালেই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পালটা হামলার চেষ্টা চালায় পাক বায়ুসেনা। বিকেলে আবার আলোচনার সুর শোনা গেল সেদেশেরই প্রধানমন্ত্রীর মুখে। বুধবার ইসলামাবাদ থেকে বিবৃতির শুরুতে আক্রমণাত্মই ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এদিন বলেন, ‘‘কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্রই তাদের দেশে হামলা মেনে নিতে পারে না। তাই বলেছিলাম, হামলা হতে জবাব দেব ৷’’
advertisement
দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে তা কতটা ভয়াবহ হতে পারে, সেই ইঙ্গিতও দিলেন ইমরান। উদাহরণ টানলেন দুই বিশ্বযুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ থেকে হালের আফগান যুদ্ধের। ইমরান খান এদিন আরও বলেন, ‘‘পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আমার বা মোদির কন্ট্রোলে থাকবে না ৷ আমরা আলোচনায় রাজি। একসঙ্গে বসে সমাধান করতে হবে ৷’’
তারপরই সুর নরম ইমরানের। সংঘর্ষ থামিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেন ভারতকে। দাবি করলেন, নয়াদিল্লির কথা মেনে সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা করতেও তৈরি ইসলামাবাদ।
২৬/১১ হামলা থেকে উরি-পাঠানকোট। প্রতিবারই ইসলামাবাদের হাতে জঙ্গি হামলার তথ্য তুলে দিয়েছে নয়াদিল্লি। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলও। এরমাঝে ইসলামাবাদে একাধিকবার ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে। পালটেছে শাসকের মুখ। তবে সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই। আজও পাক সেনা ও আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ মদতে সেদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে মাসুদ আজহার-হাফিস সইদরা। তাই কূটনৈতিক মহলের মতে, ইমরানের এই আলোচনার প্রস্তাব দ্বিচারিতা ছাড়া কিছুই নয়।