জানা গিয়েছে, সামান্থা পালমা নামের ওই মহিলা গত ১৪ মার্চ ডালাস ফোর্থ ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢোকেন৷ ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই জামাকাপড় খুলে শুরু করেন উন্মাদের মতো আচরণ৷ বিকট অঙ্গভঙ্গি করে নাচতে থাকেন বিমানবন্দরের মধ্যে৷ তা-ও নগ্ন অবস্থায়৷ এমনকি, বিমানবন্দরে থাকা একটি টেলিভিশনও ভেঙে দেন তিনি৷ কেউ কিছু বললেই চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘‘আমি ভেনাস!’’
advertisement
ভেনাস, অর্থাৎ, প্রেম ও সৌন্দর্যের গ্রিক দেবী হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছিলেন ওই মহিলা৷ বিমানবন্দরের দুই কর্মী এর মাঝে তাঁকে আটকাতে গেলে হাতে থাকা সূচালো পেনসিল দিয়ে তাঁদের গায়ে গেঁথে দেন ওই মহিলা৷ পরে এক রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকেও কামড় দেন বলে জানা গিয়েছে।
ভিডিওয়োয় দেখা যায়, একজন পালমাকে একটি কোটও এগিয়ে দিচ্ছেন, যা দেখে নগ্ন মহিলাটি দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন এবং এলোমেলো ব্যক্তিদের দিকে তাকিয়ে “তুমি কে?” বলে চিৎকার করেন।
টিএমজেড সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ওই সব তাণ্ডবের পরে পুলিশ ওই মহিলাকে টার্মিনাল ডি-এর গেট ডি১-এ একটি ইমারজেন্সি ডোরের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে দেখে। প্রতিবেদন অনুসারে, সেই সময় মহিলার গোটা গা রক্তে ভেজা ছিল, কিন্তু, সেই রক্ত তার নিজের ছিল না।
অনেক কষ্টে শেষে পালমাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ৷ পুলিশের কাছে পালমা দাবি করেছেন, তিনি সেদিন ওষুধ খেতে ভুলে গিয়েছিলেন। তিনি আরও দাবি করেন যে তিনি তার ৮ বছরের মেয়ের সাথে বিমানবন্দরে এসেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পালমা নিজেকে ডিজনি রাজকুমারী এরিয়েল এবং পোকাহোন্টাস বলেও পরিচয় দিয়েছিলেন ওইদিন।