এমনই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাস্তি পেলেন ইংল্যান্ডের ওয়ারউইকশায়ারের বাসিন্দা এক মহিলা৷ ২০১৮ সালে নিজের ৩ বছর এবং ১৭ মাস বয়সি দুই কন্যাসন্তানকে খুন করেন তিনি৷
দুই শিশুকন্যাকে হত্যার অভিযোগে লুইস পোর্টন নামে ওই মহিলাকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে৷ নৃশংস এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের অপরাধে ন্যূনতম ৩২ বছর জেলে থাকতে হবে তাঁকে৷ ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের একটা আদালত এই শাস্তি ঘোষণা করে৷ রায় দিতে গিয়ে এই জোড়া হত্যাকাণ্ডকে শয়তানের কাজ এবং সুপরিকল্পিত বলে ব্যাখ্যা করেন বিচারক৷
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষাতেও টুকলিতে বাধা! ছাত্রদের বিক্ষোভ, মুর্শিদাবাদের স্কুলে তুলকালাম
জানা গিয়েছে, পার্পেল প্লট নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতেন ওই তরুণী৷ তাঁর লক্ষ্য ছিল, যৌনকর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা৷ কিন্তু যখন খুশি, যার সঙ্গে খুশি যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল তরুণীর দুই ফুটফুটে কন্যাসন্তান৷ নিজের পেশার কথা ভেবেই যে তিনি ১৮ দিনের ব্যবধানে নিজের দুই মেয়েকে খুন করেছেন, তাও স্বীকার করে নেন ওই তরুণী৷
২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি নিজের বড় মেয়ে তিন বছরের লেক্সিকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করেন ওই মহিলা৷ এর কিছুদিন পর ১ ফেব্রুয়ারি নিজের ছোট মেয়ে স্কারলেটকেও খুন করেন তিনি৷ বড় মেয়ে লেক্সিকে খুন করার পরের দিনই একটি ডেটিং অ্যাপে ওই মহিলা ৪১টি নতুন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করেন বলে আদালতে জানায় পুলিশ৷ শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে নিজের বড় মেয়েকে দু বার হত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই তরুণী৷ স্কারলেট নামে ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়৷ মেয়ে যখন হাসপাতালে, তখন বাথরুমে নিজের নগ্ন ছবি তুলে ওয়েবসাইটে পরিচয় হওয়া এক ব্যক্তিকে পাঠান ওই তরুণী৷
তদন্তকারীদের দাবি, শ্বাসরোধ করেই নিজের দুই মেয়েকে খুন করেছেন ওই মহিলা৷ শিশুদের মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য ইন্টারনেটও ঘাঁটাঘাঁটি করেন তিনি৷ দমবন্ধ হয়ে শিশুদের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ, জলে ডুবে যাওয়ার পর কোনও শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কতটা, নেট ঘেঁটে তা জানার চেষ্টা করেছিলেন লুইস পোর্টন৷