ভারতের উত্তর পূর্বের সাতটি রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরা-কে একসঙ্গে বলা হয় সেভেন সিস্টার্স৷ এর মধ্যে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম—এই চারটি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত রয়েছে, যা এই অঞ্চলের কৌশলগত সংবেদনশীলতাকে আরও স্পষ্ট করে। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে আবদুল্লাহ এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: মহাদুর্লভ যোগ! ‘২৬ সালের শুরুতেই একাধিক রাজযোগ, ৩ রাশির জ্যাকপট, নতুন বছরেই সাফল্যে হাতের মুঠোয়
“আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারতবিরোধী শক্তিগুলোকে আশ্রয় দেব, তারপর ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করব,” মন্তব্য আবদুল্লাহ৷ ভাষণের পর উপস্থিত জনতার একাংশের মধ্যে জোরালো উল্লাস দেখা যায়।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয় সশস্ত্র ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশকে আশ্রয়স্থল, যাতায়াতের পথ ও লজিস্টিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে—বিশেষ করে ১৯৯০-এর দশকের শেষভাগ ও ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে। ওই সময়ে আসাম ও ত্রিপুরার একাধিক বিদ্রোহী সংগঠনের শিবির, নিরাপদ আশ্রয়স্থল বা সহায়তামূলক নেটওয়ার্ক সীমান্তের ওপারে ছিল।
ত্রিপুরার ক্ষেত্রে, ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (এনএলএফটি) এবং অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (এটিটিএফ)-এর মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে বারবার বাংলাদেশের ভেতরে থাকা শিবির ও হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যুক্ত বলে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো উল্লেখ করেছে। কর্মকর্তাদের মতে, হামলার পর এসব গোষ্ঠীর সদস্যরা নিরাপত্তা বাহিনীর হাত এড়াতে বাংলাদেশে পালিয়ে যেত এবং সেখানে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সংগ্রহের কাজ হত।
