বাবা ও দিদির মৃত্যুতে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন স্টেফনির মা। এক মাত্র বেঁচে ছিলেন স্টেফনি। তাও কোমায়। দু'সপ্তাহ পড়ে কোমা থেকে জেগে ওঠেন স্টেফনি। তিনি তখন জানেন না তাঁর সঙ্গে কি হয়েছে। সামনে বসে অঝোরে কাঁদছেন স্টেফনির মা। জানতে পারেন, ভলক্যানোতে ঝলসে গিয়েছে তাঁর শরীর। হাতের আঙুল থেকে মুখ কিছুই আর ঠিক নেই। মারা গিয়েছেন তাঁর বাবা ও দিদি। এ কথা শুনে ফের অবচেতন হয়ে পড়েন স্টেফনি। কিন্তু বার বার মায়ের মুখ ভেসে এসেছে তাঁর সামনে। মায়ের কাছে বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল এখন স্টেফনি। তাঁকে যেভাবেই হোক বেঁচে ফিরতে হবে। মায়ের জন্য। এই মনের জোড়েই স্টেফনি কঠিন লড়াই থেকে জিতে ফিরেছেন। দীর্ঘ চিকিৎসা চলে তাঁর।
advertisement
কিন্তু হেরে যাননি স্টেফনি। মায়ের মুখ চেয়ে সব সহ্য করে নিয়েছেন। গোটা মুখ, হাত-পা সব কিছু ঢেকে রেখেছিলেন এতদিন। চলছিল প্লাস্টিক সার্জারিও। দু'বছর পর মুখের ওপর থেকে মাস্ক খুলে ফেললেন স্টেফনি। প্লাস্টিক সার্জারি শেষ। ফিরেছে মুখের অনেকটাই আগের আদলে। প্রথমবার নিজের মুখের সেলফি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগে ভেসেছেন এই মেয়ে। তবে এই গোটা সময়টা, চিকিৎসার পাশাপাশি, সব কিছুই করেছেন স্টেফনি। এখন তাঁর মায়ের সঙ্গেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান স্টেফনি। তাঁর সাহসিকতার প্রশংসায় মেতেছে গোটা দুনিয়া।
