আসলে কী হয়েছে ঘটনাটি? আমেরিকার ওরেগনের বাসিন্দা ন্যান্সি ক্র্যাম্পটন ব্রফি। ৭১ বছরের ন্যান্সি পেশায় লেখিকা। ২০১১ সালে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন ন্যান্সি, যার নাম ছিল 'হাও টু মার্ডার ইওর হাসব্যান্ড'। অর্থাৎ স্বামীকে খুন করার সহজ উপায়। ন্যান্সির লেখা প্রবন্ধের বিষয়বস্তু ছিল এমনই। সেখানে নানা রকম পন্থা ও খুনের মোটিভের কথাও লিখেছিলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিনব তাস প্রতিযোগিতার আসর, বিজয়ীরা কত নগদ পুরস্কার পেলেন জানেন?
ঘটনাচক্রে ২০১৮ সালে ন্যান্সি ধরা পড়লেন নিজের স্বামীকে খুনের অপরাধে। সে বছর জুনে খুন হন ড্যানিয়েল ব্রফি নামে ওই ভদ্রলোক। পেশায় তিনি ছিলেন একজন শেফ। তাঁর কর্মস্থলের রান্নাঘরেই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বুকে ও পিঠে গুলির চিহ্ন ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পরে ফেসবুকে শোকবিহ্বল পোস্টও করেন ন্যান্সি। ২০১৮ সালে পুলিশ স্বামীকে গ্রেফতারের অভিযোগে ন্যান্সিকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, প্রতিবন্ধী যুবকের পরিণতি দেখে শিউরে উঠল মুর্শিদাবাদ
করোনার কারণে দীর্ঘদিন মামলার শুনানি বন্ধ থাকলেও, ফের শুরু হয় শুনানি। সেখানে স্ত্রীর লেখা 'দ্য রং লাভার' ও 'দ্য রং হাসব্যান্ড' বলে দু'টি উপন্যাস লিখেছিলেন অভিযুক্ত স্ত্রী। সেখানে স্বামীকে খুনের কৌশলেই আসল জীবনে নিজের স্বামীকে মারা হয়েছে বলে দাবি করেন আইনজীবী। জেরার মুখে স্ত্রী স্বীকার করেন তিনি টাকা আত্মস্যাৎ করার জন্যই স্বামীকে খুন করেছেন।