ওপেন সোর্স সফ্টওয়্যার ব্লেন্ডার এই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে৷ ভিডিওতে অ্যানিমেটররা চেষ্টা করেছেন টাইটানের অন্দরমহল দেখাতে৷ তাঁদের মতে, গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার জন্য টাইটান ছিল বেসিক সাবমেরিন৷ একবার দেখে নিন সেই ভাইরাল ভিডিও-
advertisement
সম্প্রতি স্প্যানিশ ইঞ্জিনিয়ার ও আন্ডারওয়াটার এক্সপার্ট জোসে লুইস মার্টিন দাবি করেছেন টাইটান ধ্বংসের ৪৮ সেকেন্ডে থেকে ৭১ সেকেন্ডের মাথায় অভিযাত্রীরা টের পেয়েছিলেন তাঁদের অন্তিম মুহূর্ত উপস্থিত৷ তাঁর দাবির পর পরই ইন্টারনেটে বাজিমাত করেছে এই অ্যানিমেটেড ভিডিও৷ মার্টিন ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন টাইটানের মর্মান্তিক পরিণতি৷ তাঁর মতে, টাইটানের দূর নিয়ন্ত্রিত অবতরণের সময় কোনও বৈদ্যুতিন ত্রুটি হয়েছিল৷ সেই কারণে ডুবোজাহাজটির হদিশ উধাও হয়ে যায়৷ এর পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টাইটান হু হু করে নামতে থাকে অতল গভীরতায়৷ ভয়ঙ্কর সেই ‘ফ্রি ফল’ চলে ৪৮ সেকেন্ড থেকে ৭১ সেকেন্ড পর্যন্ত৷ তখনই যাত্রীরা টের পান তাঁদের শেষ মুহূর্ত উপস্থিত৷ ডুবোজাহাজ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় একে অন্যের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যাত্রীরা৷ ধারণা বিশেষজ্ঞ মার্টিনের৷ তত ক্ষণে আলো নিভে গিয়ে নিকষ অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল ডুবোজাহাজ টাইটান৷ টাইটানিকের মতো সেও তার যাত্রায় চিরকালের মতো ইতি টানে অতল অতলান্তিকে৷
টাইটানের যাত্রী ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তাঁর ছেলে সুলেমান, ওশনগেট সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ এবং ফরাসি ডুবোজাহাজ বিশেষজ্ঞ পল অঁরি নার্গিওলেট৷ পাঁচ দুঃসাহসী অভিযাত্রী চিরঘুমে ঘুমিয়ে পড়লেন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে৷