গত বৃহস্পতিবার রাজধানী কারাকাসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। হঠাৎ করেই কর্মব্যস্ত শহরে নেমে আসে অন্ধকার। তারপর অন্যান্য স্থানেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কারাকাসের প্রধান বিমানবন্দর অভিমুখী ফ্লাইটগুলোর দিক পরিবর্তন করা হয়েছে। বিমানবন্দরটির হাজার হাজার কর্মী বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এমতাবস্থায় দেশটিতে বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ ১৭ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর ৷ এর পাশাপাশি দেশটির খাদ্য সামগ্রীর দাম আকাছ ছুঁয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, দেশটির কোনও কোনও জায়গায় এক লিটার দুধের দাম ৮০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে ৷ তেল মজুদ থাকার পরও ভেনেজুয়েলা তাদের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জলবিদ্যুতের উপরই নির্ভরশীল। গত কয়েক দশকে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না করার কারণে দেশটির প্রধান বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্ল্যাকআউটের ঘটনা দেশটিতে নতুন কিছু নয়।
advertisement
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রসঙ্গে ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদো বলেন, ব্ল্যাকআউট একটি ‘বিশৃঙ্খলা, উদ্বেগ ও আশঙ্কার’বিষয়। একই সঙ্গে এটি অবৈধ সরকারের অদক্ষতার প্রমাণ। তিনি বলেন, মাদুরো ক্ষমতা থেকে অপসারিত হলে আলো ফিরে আসবে।
এদিকে মাদুরো জানিয়েছেন, স্বঘোষিত অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের সহায়তায় একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক টুইটে জানান, খাদ্য নেই, ওষুধ নেই, এখন বিদ্যুৎও নেই। তারপর মাদুরোও থাকবে না।