রেগিস্তান, সমরখন্দ:
প্রথম দর্শনে যে কেউ সমরখন্দের ঐতিহাসিক রেগিস্তান স্কোয়ারের প্রেমে পড়ে যেতে পারেন। এটি স্থান করে নিয়েছে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাতেও। এছাড়া সমরখন্দে রয়েছে বিবি-খানিম মসজিদ, শাহ-ই-জিন্দা নেক্রোপলিস, গুর-এ-আমির সমাধি এবং উলুগবেকস অবজার্ভেটরি।
আরও পড়ুন- বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরবঙ্গে আবহাওয়ার কী পূর্বাভাস, জেনে নিন
advertisement
বুখারা:
বুখারা একটি প্রাচীন শহর। ইউনেস্কো দ্বারা সুরক্ষিত এই শহরের ঐতিহাসিক অংশে দেখতে পাবেন পুরাতন যুগের মসজিদ, মিনার, মাদ্রাসা, শিল্পকর্মের ওয়ার্কশপ, সরাইখানা এবং স্থানীয় খাবারের জায়গা। এর পাশাপাশি এখানে রয়েছে মীর-ই-আরব, নাদির দিভানবেগি এবং আব্দুল আজিজ খানের মাদ্রাসা, কালন মিনার এবং সিতোরাই মোহি হোসার সামার প্যালেস।
নুকুসের সাভিতস্কি মিউজিয়াম:
শিল্পকলা যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের জন্য আদর্শ। দেশের পশ্চিম অংশে রয়েছে কারাকালপাকস্তান। এখানে পর্যটকরা আরাল সাগর, প্লেটো এবং মরুবেষ্টিত দুর্গের নানা দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ হল সাভিতস্কি মিউজিয়াম।
ইচান কালা, ওল্ড খিভা:
খিভা শহরের ওপেন এয়ার মিউজিয়ামে এখনও মিলবে প্রাচীন যুগের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ছোঁয়া। খিভার প্রাণকেন্দ্রে থাকা ইচান কালা এমন একটি দুর্গ, যেখানে মিলবে আকর্ষণীয় স্থাপত্যকর্মের নিদর্শন। এর পাশাপাশি জুমা মসজিদ, তোশ-হোভলি প্যালেস, কালতা মাইনর মিনার এখানকার অন্যতম আকর্ষণ।
রিশতান:
সেরামিকের পীঠস্থান বলা হয় এই শহরকে। এখানে পা রাখলেই দেখা যাবে রাস্তার দুধারে বসেছে মাটির জিনিসের পসরা। আসলে রিশতান হল পোড়া মাটির সমৃদ্ধ উৎস। তবে সেরামিকের সামগ্রী কিনতে গেলে স্থানীয় শিল্পীদের স্টুডিওতে যেতে হবে।
আরও পড়ুন- ১০০ কোটির শেয়ার হাতে নিয়েও নিতান্ত সাধারণ জীবন যাপন করেন! দেখে নিন ভাইরাল বৃদ্ধের কাণ্ড
মার্গিলান:
ফারগানা উপত্যাকায় অবস্থিত এই শহরেই ইক্কতের উৎপত্তির ইতিহাসের সন্ধান মিলবে। ছোট্ট আরামদায়ক এই শহরে তৈরি উজবেক ইক্কতকে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি দিয়েছে রেশম পথ। কৃষিপ্রধান মার্গিলানের জীবনযাত্রাও এখানে উপভোগ করা যাবে।
তাশখন্দ:
উজবেকিস্তানের রাজধানী শহর তাশখন্দ আসলে এই দেশে র প্রবেশদ্বার। ইসলামিক স্থাপত্যশৈলী, রঙিন প্রাণবন্ত রাস্তাঘাট, শিল্প-ইতিহাসের নিদর্শন বয়ে নিয়ে চলা জাদুঘর, থিয়েটার তো আছেই, আধুনিক নৈশজীবন ও আন্তর্জাতিক খাবারও এখানে বড়ই উপভোগ্য। এই শহরে রয়েছে আমির তিমুর জাদুঘর, আমির তিমুর মনুমেন্ট এবং তাশখন্দ ক্লক টাওয়ার। এটা কেনাকাটারও পীঠস্থান বটে।
কোনিগিল ভিলেজ:
সমরখন্দের উপকণ্ঠে অবস্থিত এই গ্রাম শিল্পকর্ম শেখার জন্য একেবারে আদর্শ। সময় যেন অপূর্ব এই গ্রামে এসে থমকে যাবে। আর এখানে ঐতিহ্যবাহী সিল্ক পেপার, ভেজিটেবল অয়েল, সেরামিক, কার্পেট এবং অন্যান্য স্থানীয় শিল্পকর্ম তৈরি চাক্ষুষ করার সুযোগ মিলবে।
জমিন ন্যাশনাল পার্ক:
উজবেকিস্তানের পাহাড়ি এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হল জমিন ন্যাশনাল পার্ক। এই এলাকাটি এতটাই নয়নাভিরাম যে, এখানকার সঙ্গে স্যুইৎজারল্যান্ডের তুলনা করা হয়। সবুজ গাছপালায় সমৃদ্ধ এই জাতীয় উদ্যানে এলে মনে প্রশান্তি ছড়িয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে দেখতে পেয়ে যেতে পারেন ব্ল্যাক স্টর্ক, ব্ল্যাক বিয়ার, লিঙ্স এবং স্নো লেপার্ড প্রভৃতি।