সম্প্রতি ৪২ বছর বয়সি ওই মহিলা একটি TikTok ভিডিওর মাধ্যমে জানান যে, ২৬ বছর বয়সে তিনি জানতে পারেন, যে বাবা-মায়ের কাছে এতদিন ছিলেন তাঁরা আসলে জন্ম দেননি এবং তাঁর পুরো জীবনটাই একটা মিথ্যা সম্পর্কের উপর দাঁড়িয়েছিল। TikTok-এর ভিডিওতে ওই মহিলা আরও বলেন যে, তিনি কী ভাবে জানলেন যে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। ভিডিওয় তিনি বলেছেন যে তাঁর বাবা-মা তাঁর জন্মদাতা মা-বাবা নন এবং এখন তিনি খোঁজারচেষ্টা করছেন তাঁর আসল পরিবারকে।
advertisement
তিনি বলেন "আমি ধরে নিয়েছিলাম যে আমার জৈবিক মাকে খোঁজার দ্রুততম উপায় হল তাঁর অপরাধমূলক রেকর্ড সন্ধান করা।" এর পর তিনি যে শহরে জন্মেছিলেন সেখানকার পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং তাঁর গল্প শুনে পুলিশও আগ্রহী হয়েছিল। তবে এই তদন্তের পর রেকর্ড অনুযায়ী একটি নতুন ঘটনা সামনে আসে যে, আসলে ওই মহিলার নামে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা ছিল। এছাড়াও তাঁর জন্মদাত্রী মায়ের নামে কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল না এটাও পরিস্কার হয়। যদিও পরে তিনি জানতে পেরেছিলেন যে তাঁর জৈবিক মা তাঁকে পালিত পরিবারের কাছে বিক্রি করেছিলেন এবং সকলের কাছে ঘটনাটিকে অপহরণ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। তবে, তাঁর জৈবিক ঠাকুরমা তাঁর সম্পর্কে একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে আবার ওই মহিলার পালিত পরিবার তাঁকে বলেন যে একজন পাগল মায়ের কাছ থেকে শিশুটিকে রক্ষা করেছেন তাঁরা। যদিও অপহৃত না হলেও ওই মার্কিন মহিলাটি মনে করতেন, অপহরণকারীদের কাছে মানুষ হয়েছেন তিনি। মহিলাটি আরও বলেন যে তিনি ওই দম্পতির সঙ্গে এমন একটি মিথ্যা সম্পর্কের মধ্যে বসবাস করেছিলেন যা তাঁর কাছ থেকে তাঁর জীবনের অনেকগুলি বছর কেড়ে নেয়। যখন তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল, ওই পালিত বাবা-মা তাঁকে জানিয়েছিলেন যে তিনি তাদের জৈবিক সন্তান নন। এর পরই তিনি পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তখন থেকেই ‘অপহরণকারীদের’ সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি।
এর পর মহিলাটি একটি প্রাইভেট তদন্তকারী দলের সহায়তায় ২০০৬ সালে তাঁর জন্মদাত্রী মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। বহু অনুসন্ধানের পর আসল মায়ের সঙ্গে দেখা হলেও সেই সাক্ষাৎ সুখকর হয়নি। বুধবার, তিনি একটি আপডেট পোস্ট করে জানিয়েছিলেন যে তাঁর জৈবিক বাবা - যাঁর সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না, তিনি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আপাতত সব ভালোই চলছে!