বিষয়টি অতীব তাৎপর্যপূর্ণ, সন্দেহ নেই! LGBTQ আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ইউনাইটেড স্টেটসের পাসপোর্টে এত দিন পর্যন্ত কেবল নারী আর পুরুষের উল্লেখ থাকত। এবার তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা এক নয়া দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। শুধু তা-ই নয়, সরকার আরও জানিয়েছে যে এবার থেকে যে কোনও ইউনাইটেড স্টেটসের নাগরিক তাঁর পাসপোর্টে নিজের ইচ্ছা মতো নিজেকে পুরুষ বা নারী বলে ঘোষণা করতে পারবেন। বুঝে নিতে অসুবিধা নেই যে এই ঘোষণা করা হয়েছে রূপান্তরকামীদের সম্মানের কথা মাথায় রেখে। এক্ষেত্রে শুধু একটিই শর্ত রয়েছে- তাঁদের লিঙ্গ পরিবর্তনের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পাসপোর্ট অফিসে পেশ করতে হবে। একই সঙ্গে ইউনইটেড স্টেটসের প্রবীণ রূপান্তরকামীদের জন্যও একটি আনন্দ সংবাদ পেশ করেছে সরকার, জানিয়েছে যে এবার থেকে তাঁদের সার্জারি সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়ভার সরকারের তরফে বহন করা হবে।
advertisement
অবশ্য এই প্রসঙ্গে ইউনাইটেড স্টেটসের সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকেনের (Antony Blinken) একটি বিবৃতি মাথায় রাখা দরকার। তিনি জানিয়েছেন যে প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের (Joe Biden) LGBTQ উন্নয়নের অঙ্গ হিসাবে এই যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট নানা দফতরের সঙ্গে কথা বলে কাজে রূপায়ণে কিছু সময় লাগবে। যদিও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- সব দিক থেকে মসৃণ এক জীবনযাত্রা LGBTQ সম্প্রদায়কে প্রদান করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।