বিগত কয়েক সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মার্কিন মুলুকে যত সমীক্ষা হয়েছে, তা থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট, লড়াই হচ্ছে সমানে সমানে। ট্রাম্প এবং হ্যারিসের মধ্যে ব্যবধান খুব সামান্য। তবে নির্বাচনী ফলাফল আসতে কিছুটা সময় লাগবে, আবার রাতারাতি ঘোষণাও হয়ে যেতে পারে। এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পদে প্রথম মহিলা হিসাবে কমলা হ্যারিস বসবেন না কি ক্ষমতা ফের ট্রাম্পের পদানত হবে, সেটা অনেকাংশে ঠিক করে দেবে এই স্যুইং স্টেটগুলো।
advertisement
অ্যারিজোনা: ২০২০ সালের নির্বাচনে অ্যারিজোনায় ১০,৫০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। ১৯৯৬ সালের পর রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে তিনিই প্রথম ওই রাজ্যে হারেন। ট্রাম্প সমর্থকরা মনে করেন, এখানে কারচুপি হয়েছিল। যাইহোক চলতি নির্বাচনে টাইমস/সিয়েনা-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ট্রাম্প এই রাজ্যে এগিয়ে রয়েছেন। এমারসনের সমীক্ষাও ট্রাম্পকে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশে ট্রাম্পকে এগিয়ে রেখেছে।
জর্জিয়া: জর্জিয়ায় ইডিসন নিউজ এজেন্সি রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রায় ৭৭ শতাংশ ভোট গণনার পর ট্রাম্প ৫২.৩ শতাংশ বনাম ৪৭.১ শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। এই রাজ্য ডেমোক্র্যাটদের দিকে কিছুটা হলেও ঝুঁকে থাকে। সেদিক থেকে ট্রাম্প এখনও পর্যন্ত অসাধ্যসাধন করেছেন বলাই যায়।
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের আগেই কি শিবির বদল করবেন জন বারলা? জল্পনা এখন তুঙ্গে
পেনসিলভেনিয়া: পেনসিলভেনিয়ায় ১৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট রয়েছে, যা অন্য যে কোনও স্যুইং স্টেটের চেয়ে বেশি। সমীক্ষা বলছে, এই রাজ্যে হ্যারিস বা ট্রাম্প যে কেউ জিততে পারেন। অর্থাৎ লড়াই এখানে সমানে সমানে। তবে ফোবর্স হ্যারিসকে সামান্য এগিয়ে রেখেছে। আর এমারসন এগিয়ে রেখেছে ট্রাম্পকে।
নেভাডা: নেভাডায় ফাইভথার্টিএইট অনুযায়ী ট্রাম্প ০.৩ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন, তবে টাইমস/সিয়েনা সমীক্ষায় হ্যারিসকে ৪৯ থেকে ৪৬ শতাংশে এগিয়ে রাখা হয়েছে। YouGov-এ হ্যারিস ৪৮ থেকে ৪৭ শতাংশে এগিয়ে। এমারসন জরিপে ট্রাম্প এবং হ্যারিস দু’জনেই ৪৮ শতাংশে অবস্থান করছেন।
নর্থ ক্যারোলিনা: নর্থ ক্যারোলিনায় জিতে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই রাজ্যের ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন তিনি। ২০১৬ এবং ২০২০ সালের ভোটেও এখানে জিতেছিলেন তিনি। এবারে ডেমোক্র্যাটরা এখানে পাশা ওল্টানোর চেষ্টা করেছিল। প্রচার, সমাবেশে কমতি রাখেননি কমলা হ্যারিস। কিন্তু লাভ হয়নি।
মিশিগান: এমারসনের সমীক্ষা অনুযায়ী, মিশিগানে হ্যারিস এগিয়ে রয়েছেন। মর্নিং কনসাল্টও তাঁকেই এগিয়ে রেখেছে। তবে নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনার সমীক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
উইসকনসিন: উইসকনসিনে, ফাইভথার্টিএইট অনুযায়ী হ্যারিস ১.১ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। YouGov এবং টাইমস/সিয়েনা-এও ট্রাম্পের থেকে তাঁকে এগিয়ে রেখেছে। তবে মর্নিং কনসাল্ট এগিয়ে রেখেছে ট্রাম্পকে।