চারটি প্রদেশের ফল ঠিক করে দেবে আগামী চার বছর মার্কিন মসনদ কার দখলে থাকবে। ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার দোরগোড়ায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ৷ আর একটি রাজ্য জিতলেই ব্যস, চুড়ান্ত ঘোষণা ৷ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবথেকে বেশি ভোট পেয়ে ইতিহাস গড়ে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে চলেছেন বাইডেন ৷ অন্যদিকে ট্রাম্পকে জিততে হলে বাকি থাকা চার প্রদেশেই জয় পেতে হবে ৷ ফলাফল ঘোষণা প্রাথমিক পর্বে যখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল তখন থেকেই অস্থির ট্রাম্প একের পর এক ভিত্তিহীন মন্তব্য ও কাজ করে চলেছেন ৷ ভোট কারচুপির অভিযোগ আনার পরে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ফিরিয়েছে। এদিন বাইডেনরা ভোট চুরি করছে এই অভিযোগ এনেও ট্যুইটারের কোপে পড়েছেন ট্রাম্প। জয়ের দোরগোড়ায পৌছনো বাইডেনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প আদালতের দ্বারস্থ আবারও হবেন বলে জানিয়েছেন| জো বাইডেনের জেতা সমস্ত প্রদেশের ফলকে চ্যালেঞ্জ করবেন তিনি ৷
advertisement
এহেন কার্যকলাপ দেখার পর অধিকাংশ মানুষেরই মনে হচ্ছে হার হজম করতে পারবেন না ট্রাম্প ৷ এমনকী হেরে গেলেও এত সহজে হোয়াইট হাউস ছাড়বেন না তিনি ৷ এমতাবস্থায় কী করণীয়? আমেরিকার নিয়ম নীতি বলছে দ্বিতীয়বার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কোনও আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ভোটে হেরে যান তাহলে তাঁকে ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে হোয়াইট হাউসও ছেড়ে দিতে হয় ৷ কিন্তু কেউ যদি তা করতে অস্বীকার করে তাহলে সেক্ষেত্রে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ও সিক্রেট সার্ভিসের হাতেই চলে যাবে বাকিটুকু ৷ এমতাবস্থায় তারাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ৷
নিয়ম বলছে পরাজিত হওয়ার পরও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি যদি হোয়াইট হাউস ছাড়তে নারাজ থাকেন তাহলে তাঁকে হোয়াইট হাউসের সীমানার বাইরে বার করার জন্য মাঠে নামবে সিক্রেট সার্ভিস ৷ তাঁদের এ সংক্রান্ত করণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ৷
উল্লেখ্য, আজ পর্যন্ত এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি, তাই এমন পরিস্থিতির কথা ভেবে বা উল্লেখ করে আমেরিকান সংবিধানেও কোনও কথা লেখা হয়নি ৷ কোনও রাষ্ট্রপতি হারার পরও যদি পদ ও হোয়াইট হাউস ছাড়তে না চায় তাহলে কী করা হবে সেসম্পর্কে কোনও দিশা দেখানো নেই মার্কিন সংবিধানে ৷ তবে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি যেহেতু সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধীন হবেন সেক্ষেত্রে এব্যাপারে তিনিই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে মনে করছে আইনবিশেষজ্ঞরা ৷