“আমাদের নাগরিকদের বা সেনাবাহিনীর উপর কেউ হামলার চেষ্টা করলে, তার জবাবে আমরা কঠোর প্রতিশোধ নেব।”
ইরান-সমর্থিত হামলার অভিযোগ
বলা হয়েছে, এই হামলায় কোনও প্রাণহানির খবর এখনো নিশ্চিত নয়, তবে উত্তেজনা যে বাড়বে তা একপ্রকার নিশ্চিত।ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীরা সিরিয়ার আল-হাসাকা প্রদেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
advertisement
কোথায় মোতায়েন রয়েছে মার্কিন সেনা?
মার্কিন সেনা ২০১৪ সাল থেকে সিরিয়ায় উপস্থিত রয়েছে, তাদের মূল লক্ষ্য—আইসিস (ISIS)-কে নির্মূল করা।
বর্তমানে সিরিয়ায় প্রায় ২,০০০ জন মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে, যারা কুর্দ নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (SDF)-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।
এই সেনারা সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলিতে মোতায়েন:
- আল-তানফ (Al-Tanf)
- শাদ্দাদি (Shaddadi)
- রুমালিন ল্যান্ডিং জোন (Rumalin Landing Zone)
- খারাব আল-জির (Kharab al-Jir)
মধ্যপ্রাচ্যে কী হতে পারে এখন?
এই ঘটনার পরে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ইরানকে নিশানা করেছে, এবার ইরানপন্থী শক্তিগুলিও সরাসরি মার্কিন বাহিনীকে টার্গেট করছে—এই পাল্টা-পাল্টি আক্রমণে গোটা অঞ্চলে বড়সড় সংঘাত বা যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মজবুত কূটনীতি না হলে, এই সংঘাত সহজে থামবে না—এটাই বলছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা।