ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা কি আদৌ বন্ধু? ইরানকে কেন্দ্র করে বড় বদল এশিয়ার সমীকরণে! পাকিস্তানকে চাপে রাখতে ভারত এবার কী করবে?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
ভারত কি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বন্ধু হিসেবে বিশ্বাস করতে পারে? মোদি ট্রাম্পের দাবি খণ্ডন করেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ৪৫ মিনিটের ফোনালাপে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন। আসিম মুনির ভারতের রেড লাইন!
ভারত কি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বন্ধু ও মিত্র হিসেবে বিশ্বাস করতে পারে? এই মুহূর্তে রাইসিনা হিলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এটিই। কারণ, ট্রাম্প এখনও জোর গলায় দাবি করে চলেছেন যে তিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করিয়েছেন—যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩৫ মিনিটের এক ফোনালাপে সেই দাবি খণ্ডন করেন। ট্রাম্পের আমন্ত্রণে কানাডা সফর থেকে ফেরার পথে আমেরিকায় থামার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন মোদি।
advertisement
এর পর, আমেরিকা যখন ইরানে সামরিক হামলা চালাল, তখন মোদি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের মধ্যে ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ হয়। মোদি সেখানে উত্তেজনা প্রশমনের ডাক দেন, আর পেজেশকিয়ান ভারতকে “বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন—বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতের ভূমিকা ও কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
নয়া দিল্লির বার্তা স্পষ্ট হওয়া উচিত—আসিম মুনির ভারতের রেড লাইন। ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে মোদির ফোনালাপ ছিল সেই বার্তাই। “ট্রাম্প সাহেব তো অনেক কিছুই বলেন… সব কিছু যদি এত সিরিয়াসলি নেন, তাহলে চলবে কী করে?”—এক শীর্ষ বিজেপি নেতার কথায় এটাই উঠে এল ভারতের হতাশা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড ও উক্তি নিয়ে।
advertisement
তাহলে প্রশ্নটা দাঁড়াচ্ছে— ভারত কি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বন্ধুর আসনে বসাতে পারে? এই মুহূর্তে রাইসিনা হিলে ঘোরাফেরা করা কোটি টাকার প্রশ্ন এটি। ট্রাম্প সদম্ভে ঘোষণা করেছেন যে তিনিই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামিয়েছেন—যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদি দীর্ঘ ৩৫ মিনিটের ফোনে তার সেই দাবি খণ্ডন করেন। এমনকি কানাডা সফর থেকে ফেরার পথে ট্রাম্পের আমন্ত্রণে আমেরিকায় যাত্রাবিরতি করতেও রাজি হননি মোদি।
advertisement
এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর হামলা চালানোর পর, মোদি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের মধ্যে দীর্ঘ ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ হয়। সেখানে মোদি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং পেজেশকিয়ান ভারতকে “বন্ধু” হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারতের ভুমিকা ও কণ্ঠস্বর আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
এই ফোনালাপ আসলে ভারতের পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একটি সাবটেল বার্তা। যখন ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির ফোনে কথোপকথন ছিল ৩৫ মিনিট, সেখানে ইরানের সঙ্গে ৪৫ মিনিটের দীর্ঘ আলোচনা তা-ই বোঝায়। সবচেয়ে বড় কাঁটা—আসিম মুনির যে আসিম মুনিরকে ভারত পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখে, যার চোখে কাশ্মীর পাকিস্তানের “শিরায় রক্তসঞ্চালন”—তাকে হোয়াইট হাউসে লাঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
advertisement
advertisement
advertisement
‘Bunker Buster’, ‘Tomahawk’, ‘Stealth Bomber B2’—সব মোতায়েন হয়েছে। পাকিস্তানের ৯০০ কিমি ইরান সীমান্ত থাকায়, আমেরিকার জন্য পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষে কথা বললেও, পাকিস্তান ভেতরে ভেতরে উলটো চাল দিচ্ছে। ভারতের যুদ্ধ এখনো চলছে ভারতের যুদ্ধও চলছে—পাকিস্তান পৃষ্ঠপোষিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।
advertisement
advertisement
advertisement
ভারতের কাছে এটা পরিষ্কার যে—পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের আগেই আসিম মুনির হোয়াইট হাউসে ঢুকে পড়েছেন। ভারত জানে, ট্রাম্প কাকে খাওয়াবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিন্তু সেটা নিয়ে চুপও করে থাকতে হবে এমন নয়। নতুন বার্তা—রেড লাইন টেনে দাও ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিক—আসিম মুনির ভারতের কাছে রেড লাইন।
advertisement
advertisement
advertisement
ট্রাম্পের নোবেল পদক পাওয়ার দাবিতে মুখপাত্র হল যে দেশ পহেলগাঁও হামলা ঘটিয়েছে, আর যার মুখ আসিম মুনির—এটা যেন এক বৈশ্বিক ট্র্যাজিক কমেডি। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনটি নতুন স্বাভাবিক (new normal) স্থাপন করেছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর। এবার দরকার বন্ধু রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও সেসব স্বাভাবিকতা স্পষ্ট করে জানানো।