তবে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলেনস্কি। ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, মার্কিন জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। ইউরোপের প্রায় এক ডজন নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর জেলেনস্কি বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। কোনও বিশেষ ঘটনা তাতে প্রভাব ফেলতে পারবে না। তবে আমাদের আরও খোলামেলা হতে হবে।”
advertisement
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন জেলেনস্কি। তাঁর দাবি, কোনও সামরিক শক্তিকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তার আগে যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
জেলেনস্কিকে উদ্ধৃতি দিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস-এর প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ না হলে এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে যুদ্ধবিরতি নিয়ন্ত্রণ করা কারও পক্ষেই সম্ভব হবে না।” বিতর্কিত বৈঠকের পরই অবশ্য ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতি চান না।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রকাশ্য বিবাদের পর ট্রাম্প-জেলেনস্কি সম্পর্ক এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, ট্রাম্প সরকার যদি তাঁকে আমন্ত্রণ জানায়, তাহলে “গঠনমূলক আলোচনার” জন্য তিনি ফের আমেরিকায় যেতে প্রস্তুত।
জেলেনস্কি বলেন, “আমি সেই দেশের প্রতিনিধি, যারা অনেকাংশেই সহযোগীদের উপর নির্ভরশীল। বাস্তব সমস্যার সমাধান, গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং কার্যকরী পদক্ষেপ সংক্রান্ত বিষয়ে আমন্ত্রণ জানানো হলে অবশ্যই যাব। আমেরিকা, আমেরিকার জনগণ, প্রেসিডেন্ট এবং দুই দলকেই সম্মান করি।”
ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদ নিয়ে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি। তবে দুঃখিত নন। তিনি বলেন, “সবার সামনে এই সব আলোচনা করা উচিত নয়। এতে আমাদের কোনও সুবিধাও হয়নি।” শুক্রবারের সেই বৈঠকের পর ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আর কোনও কথা হয়নি বলেও জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তাঁর সাফ কথা, “আমি আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু কোনও চমক চাই না।”