আরও পড়ুন- পোষ্যদের ছেড়ে যেতে চাইছেন না ইউক্রেনীয়রা! যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ভাইরাল পোষ্যদের ছবি
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, মানব করিডোর এবং বেরনোর অন্য পথ খোলার বিষয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা এবং আলোচনা হয়েছে তাঁর। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন আগে জানিয়েছিল, আটকে থাকা সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদে বের করে আনতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি (Russia Declares Ceasefire) ঘোষণা করা উচিত রাশিয়ার। একইসঙ্গে মানব করিডোর গড়ে নাগরিকদের বের করে আনার পক্ষেও সওয়াল করে ইউক্রেন। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির পরামর্শদাতা মিখাইলো পোডোলিয়াক বৃহস্পতিবার একটি ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন যে মানব করিডোর গড়ে তোলার বিষয়ে দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালো পতাকা! নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ সমাজবাদী পার্টির
স্পুটনিক নিউজ সূত্রের খবর, মিখাইলো পোডোলিয়াক জানিয়েছেন কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ ডোনেস্ক প্রদেশের ভলনোভাকা শহর ছেড়ে পালাতে (Russia Declares Ceasefire) চাইছেন। সারা ইউক্রেন জুড়ে কেবলই যুদ্ধের সাইরেন। মিলিটারি অপারেশন চালাচ্ছে রাশিয়ার সেনা। এরই মাঝে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি দাবি মেনে নিতে সম্মত থাকে তাহলে রাশিয়া এই যুদ্ধপরিস্থিতির কূটনৈতিক সমাধানের জন্য প্রস্তুত।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে ইউক্রেনে এই যুদ্ধের কারণে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ জাহার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। রাশিয়ার হামলার মুখে পড়ে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, মলদোভা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় খুঁজছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যুদ্ধে ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খারকিভ, কিয়েভ, সামি, ম্যারিওপুল শহরগুলি।
ম্যারিওপুলের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিরতিকে কাজে লাগিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিকাঠামো পুনরুদ্ধারের চেষ্টাও করা হবে যাতে নাগরিকদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহ করা যায়।
