ইউক্রেনের তরফ থেকে ভারতের থাকা রাষ্ট্রদূত ইগর পোলিখা নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ভাল সম্পর্ক রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পৃথিবীর অন্য দেশের নেতৃত্বের কথা শোনার বিষয়ে সন্দেহ থাকলেও আমার মনে হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা ভ্লাদিমির পুতিন শুনবেন।
ভারতের অনেক পড়ুয়াই আটকে পড়েছে ইউক্রেনে (War In Ukraine)। বেশ কয়েকটি বিমানে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হলেও বৃহস্পতিবার ভারতের একটি বিমান আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে মাঝপথ থেকেই ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। স্বাভাবিক কারণে অনেকেই আটকে পড়েছেন সে দেশে। ইউক্রেনে (War In Ukraine) ভারতের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কিয়েভে না যেতে। ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্ত ঘেঁসা শহরগুলিতে থাকতে। বাড়ির বাইরে বার না হতে।
advertisement
আরও পড়ুন - পাঁচ রুশ বিমান ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রে ধ্বংস ইউক্রেনের এয়ারবেস
রাশিয়া ইউক্রেনে ঢুকে পড়ার পর কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সে দেশে। রাশিয়ার প্রেসি়ডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া চাইছে ইউক্রেনের মধ্যে অস্ত্রবিরতি ঘটাতে। পাশাপাশি, ইউক্রেনে নাৎসিদের প্রভাব দেখা দিয়েছে। সেই নাৎসিকরণ রুখতেই এই অভিযান। পাশাপাশি, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনের রাজপথে রাশিয়ার স্থলসেনা অভিযান চালাতে শুরু করেছে, দেখা মিলেছে ট্যাঙ্কের। গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিন। চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সঙ্কটের মধ্যে সমস্ত পক্ষই যেন শান্তি বজায় রাখে, যেন যুদ্ধবিরতি বজায় রাখে।
আরও পড়ুন - ইউক্রেনে ভারতীয়দের বাড়িতে থাকতে বলল দূতাবাস, পশ্চিম সীমান্তে আশ্রয় নিতে পরামর্শ
এ দিকে ইউক্রেনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ৫০ জন রুশ সেনার ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে একাধিক হামলায়। ইউক্রেনের রাস্তায় কার্যত থেমে গিয়েছে যান চলাচল। বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যে খানে দেখা যাচ্ছে, একাধিক বাড়ি আংশিক ভেঙে পড়েছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এয়ার সাইরেন বাজছে ইউক্রেনের রাস্তায়। অর্থাৎ যুদ্ধের পূর্ণ বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
যদিও রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে সমানতালে বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমের দেশগুলি। ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি-সহ প্রায় সমস্ত পশ্চিমের দেশই রাশিয়ার ভূমিকার বিরোধিতা করেছেন।