অরিত্র জানাচ্ছেন, ওঁরা ৪৮ জন ওখানে আছেন। ভারতীয় দূতাবাস থেকে ওঁদের কবে দেশে ফেরানো হবে জানানো হয়নি। ওঁদের শুধু বলা হয়েছে,পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা কিংবা অত বিমান নেই। তবে সবাইকেই ফেরানো হবে। তবে কবে? তার এখনও কোন ও খোঁজ নেই। শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছে রোমানিয়া সরকার।
ওদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারা প্রত্যেকে পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। কিন্তু ইউক্রেন (Ukraine crisis) থেকে বুখারেস্ট যাওয়া অনেকটাই বিপদসংকুল ছিল বলে জানান অরিত্র। মাঝে মাঝে আকাশ আলো করে গোলা বর্ষণও দেখেছেন ওঁরা। অরিত্র জানিয়েছেন, যে ট্রেনে করে সীমান্তে এসেছিলেন সেটি আসবে কিনা সেই ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন না।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রতি মুহুর্তে বোমা আর মিসাইলের আতঙ্ক! বাড়ি ফিরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন ঋতম
বাসে আসার সময়ে রাস্তায় বন্দুকবাজদের দেখার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। বার বার সাইরেন বেজে উঠছিল। জীবনে বেঁচে থাকার আশাটাই তখন যেন ওঁদের ফিকে করে দিয়েছিল। জফ্রোজিয়র ওই বাংকার থেকে স্টেশন ১০ কিলোমিটার রাস্তা। একদিকে রাশিয়ান হানা। অন্যদিকে জনমানবহীন রাস্তা। ওই ঝুঁকি যেন মৃত্যুর আঁতুড়ঘর থেকে ফিরিয়ে এনেছিল ওদের। অরিত্রর সঙ্গে থাকা বন্ধুরা বেশিরভাগই ভেঙে পড়েছেন। পাঁচ দিন হল ওঁরা বুখারেস্টে আটকে রয়েছে।
অরিত্রর কথায়, "ওখানে যা খাবার সরবরাহ করছে, সেই খাবারগুলো আমিষ। কিন্তু ওদের মধ্যে ৭০% ছাত্র-ছাত্রী যারা রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই নিরামিষাশী। যার ফলে খাওয়ার সমস্যা অনেক বেশি করে দেখা দিয়েছে।" রবিবার সকালবেলা ভারতীয় দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে ,সোমবার সম্ভব হলে ওদেরকে ভারতে ফেরানো হবে। অরিত্র আশায় বুক বাঁধছেন সোমবার বা মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন। কিন্তু ডাক্তারি পড়াটা কি আর হবে? তাই নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সবাই।