এ দিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৯ জন। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের (War In Ukraine) বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা টুইট করে বিশ্বের, মূলত পশ্চিমের শক্তিধর দেশগুলিকে আবেদন করেছেন যাতে ইউক্রেনের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখানে বিস্তারিত সামরিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। যদিও ন্যাটো বা আন্তর্জাতিক সামরিক শক্তিধর দেশগুলির পক্ষ থেকে এখনও সরকারি ভাবে জানানো হয়নি যে সে দেশে আন্তর্জাতিক সেনা পৌঁছে যাবে কি না।
advertisement
রাশিয়া ইউক্রেনে ঢুকে পড়ার পর কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সে দেশে। রাশিয়ার প্রেসি়ডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া চাইছে ইউক্রেনের (War In Ukraine) মধ্যে অস্ত্রবিরতি ঘটাতে। পাশাপাশি, ইউক্রেনে নাৎসিদের প্রভাব দেখা দিয়েছে। সেই নাৎসিকরণ রুখতেই এই অভিযান। পাশাপাশি, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনের রাজপথে রাশিয়ার স্থলসেনা অভিযান চালাতে শুরু করেছে, দেখা মিলেছে ট্যাঙ্কের। গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিন। চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সঙ্কটের মধ্যে সমস্ত পক্ষই যেন শান্তি বজায় রাখে, যেন যুদ্ধবিরতি বজায় রাখে।
আরও পড়ুন - ইউক্রেনে ভারতীয়দের বাড়িতে থাকতে বলল দূতাবাস, পশ্চিম সীমান্তে আশ্রয় নিতে পরামর্শ
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই সে দেশ থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বন্দে ভারত প্রকল্পের আওতায় একাধিক বিমানে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা শুরু হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার ভারতের একটি বিমান মাঝপথ থেকেই ফিরে আসে। তার পরই ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ইউক্রেনে অবস্থিত ভারতীয়দের জন্য।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন রাশিয়ার! 'বিরাট যুদ্ধ' শুরু, সতর্কবার্তা বাইডেনেরও
নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বর্তমান অবস্থা একেবারেই অনিশ্চিত। আপনারা শান্তি বজায় রাখুন, যে যেখানে আছেন, নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন। বাড়ির বাইরে বার হবেন না। হোটেল ইত্যাদি কোনও আশ্রয়ে থাকলে, সেখানেই থাকুন।