এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ১৪,৩৫১ জনের। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৩,১৬২ জনের। ভূমিকম্পের জেরে আহত হয়েছেন কয়েকহাজার মানুষ। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থাতেও চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর মানুষ এখন ঘরছাড়া হয়েছে। স্থানীয় স্টেডিয়াম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে গৃহহীনদের জন্য।
advertisement
ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পরেই যখন একের পর এক আফটারশকে কাঁপছে তুরস্কর বিস্তীর্ণ এলাকা, তখনই জাতীয় বিপর্যয় মোকবিলা দলকে সেখানে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, ত্রাণ, খাবার, ওষুধ সহ ভারতের এনডিআরএফ-এর বিশেষ দলকে পাঠানো হয়েছে সেখানে। ভূমিকম্পের পরে এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। প্রচুর মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকাজে সহয়তার কাজও এই দলটি করবে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতীয় বায়ুসেনার C-17 বিমান করে এনডিআরএফ এই দলটিকে পাঠানো হয়েছে। দলে পুরুষ এবং মহিলা উভয় কর্মীদের রাখা হয়েছে। তুরস্কে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই দলটি কাজ করবে। সোমবার তুরস্কে ভূমিকম্পের পরেই একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সেই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ, বিদেশ মন্ত্রক, স্বাস্থ্য মন্ত্রক-সহ গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিকম্পের পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই ভূমিকম্পে অন্তত ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। অর্থাৎ মৃত্যু মিছিল আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন, ভূমিকম্পে 'মৃত্যুপুরী' তুরস্ক, বাংলা কি আদৌ সুরক্ষিত! জানুন কোথায় কোথায় বিপদ
আরও পড়ুন, ধ্বংসস্তূপের নীচে ১৭ ঘণ্টা! ভাইকে আগলে রাখল দিদি-র দু'হাত, তারপর....
বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত যা খবর তাতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭,৫০০। সবথেকে চিন্তার বিষয় ভূমিকম্পের পরে একের পর এক আফটারশকে কেঁপে উঠছে সিরিয়া এবং তুরস্কের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ছে।