রেশন দোকান, সব্জির বাজার, টিকিট কাউন্টার এমনকী অটোয় উঠতেও লাইন - আম আদমির কাছে এসব রোজকার ব্যাপার। এবার বোধহয় পর্বতারোহীদেরও লাইনে দাঁড়ানোর প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
বুধবার রীতিমতো অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখে পড়লেন এভারেস্ট অভিযাত্রীরা।
শেষধাপে পৌঁছনোর পরই হা-পিত্যেশ করে বসে থাকা। কখন সামিট করার সুযোগ আসবে! আলো পড়ে আসায় সামিট না করেই ক্যাম্পে ফিরে আসতে হয় বেশ কিছু অভিযাত্রীকে। বাঙালি অভিযাত্রী পিয়ালি বসাকও সামিট করতে না পেরে বেস ক্যাম্পে নেমে আসেন। বৃহস্পতিবার আবহাওয়া ভালো থাকলে ফের সামিট করতে রওনা হবেন তাঁরা। এভারেস্টের অভিযানের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। কেন তৈরি হল এই পরিস্থিতি?
advertisement
- গত দু'দিন খারাপ আবহাওয়ার কারণে সামিট বন্ধ ছিল
- বুধবার সামিটের জন্য রওনা দেন প্রায় ২৫০ অভিযাত্রী
- শেরপাদের মিলিয়ে ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩৫০ জন
- ব্যালকনি ও হিলারি স্টেপ পেরিয়ে সামিট করতে হয়
- সংকীর্ণ এই রাস্তায় একসঙ্গে দুজনের বেশি যেতে পারেন না
- হিলারি স্টেপেই প্রায় ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় অভিযাত্রীদের
চলতি বছরে এভারেস্টে অভিযানের সংখ্যা দেখেও চমকে গিয়েছেন অভিজ্ঞ অভিযাত্রীরা। তাদের বক্তব্য, অন্যান্য বছরের তুলনায় অভিযাত্রীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। আর তাই সামিট নিয়ে এই অব্যবস্থা।
অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরা আবার বলছেন, পৃথিবীর চুড়োতেও ট্রাফিক জ্যাম। এও এক দূর্লভ অভিজ্ঞতা বটে।