১। ১৯৬২ সালের ২ সেপ্টেম্বর লন্ডনের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন কেইর। ঘরে অসুস্থ মা শয্যাশায়ী। একই বাড়িতে থাকলেও বাবা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না বললেই চলে। অনেক সময়েই পরিবারের কথা বলতে গিয়ে কেইর নিজেকে শ্রমজীবির সন্তান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর মা ছিলেন পেশায় নার্স। আর বাবা কাঠের আসবাব বানাতেন। অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে তাঁর শৈশব কেটেছে।
advertisement
২। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে কেইর ছিলেন মানবাধিকার আইনজীবী। পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। পাবলিক প্রসিকিউশনের ডিরেক্টর হিসাবে, স্টারমার মন্ত্রীদের খরচ এবং ফোন হ্যাকিং কেলেঙ্কারি সহ হাই-প্রোফাইল মামলাগুলি তদারকি করেছিলেন।
৩। কেইর বিবাহিত এবং তাঁর দুই সন্তান। সপ্তাহান্তে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। কাজ এবং ব্যক্তিজীবনের ভারসাম্য রাখাকে গুরুত্ব দেন। এমনিতে তিনি খুবই হাসিখুসি। বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটাতে ভালবাসেন। বন্ধুদের কাছে কেইর অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং অনুগত।
৪। ফুটবল খেলার ভক্ত কেইর। ব্রিটিশ সংস্কৃতির সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে ফুটবলের প্রতি অনুরাগ। আরসেনালের ফ্যান তিনি।
৫। আইন থেকে রাজনীতিতে রূপান্তর, স্টারমারের নেতৃত্বের শৈলী রাজনৈতিক কৌশলের সঙ্গে আইনি নির্ভুলতাকে মিশ্রিত করেছে। তিনি প্রায়ই অবস্থান পরিবর্তন এবং ক্যারিশমার অভাবের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হন। অবশ্য, সমর্থকরা তাঁর পরিচালনা পদ্ধতির প্রশংসা করেন।
৬। 2020 সালে নির্বাচিত লেবার নেতা, জেরেমি করবিনের মেয়াদের পরে পার্টিকে কেন্দ্রের মাঠে ফিরিয়ে আনার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন কেইর। 2015 সালে তিনি বাম ঘনিষ্ঠ উত্তর লন্ডনের একটি আসনের প্রতিনিধিত্ব করে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে নাইট উপাধি পেয়েছিলেন কিন্তু খুব কমই ‘স্যার’ ব্যবহার করেন।
৭। কেইর অত্যন্ত বাস্তববাদী। তিনি বিশ্বাস করেন, “দেশ আগে, দল পরে।” তিনি আরও জানান, ব্যক্তিগত সমস্যা পুষে রেখে কখনও দশের জন্য ঝাঁপিয়ে পরা যায় না। কোনও সংস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করার আগে নিজের সমস্যাগুলোর সমাধান করার পক্ষপাতী কেইর।