তা হলে বাকিরা কোথায় গেলেন? কেন? আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। ২০০০ সালের ৩১ অক্টোবরের পর থেকে একটানা কোনও না কোনও মহাকাশচারী রয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে।
ওই দিন কাজাকাস্তানের বইকনুর থেকে রাশিয়ার সুয়েজ যানে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেন তিনজন মহাকাশচারী। দু'দিন পর, নভেম্বরের দু'তারিখে মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছন তাঁরা। এর পর থেকে টানা কোনও না কোনও মহাকাশচারী থাকছেন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টার (আইএসএস)- এ।
advertisement
ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে পৃথিবীকেই প্রদক্ষিণ করে চলেছে আইএসএস। মহাজাগতিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় আইএসএস -এ। ক্রমাগত সেখান থেকে ছবি পাঠানো হয় পৃথিবীতে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন খুব শিগগির পূর্ণ করে ফেলবে ২০তম জন্মদিন। মাত্র দু'দশকে কোথায় এগিয়ে গিয়েছে বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তা জানলে অবাক লাগে! বর্তমানে মহাকাশচারীদের থাকার জন্য আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছে ছোট ছোট আবাসনও।
সম্প্রতি সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম মহাকাশযানের ব্যবস্থাও করেছে আইএসএস। ক্রিস্টিনা কচ, স্কট কেলির মতো মহাকাশচারীরা একটানা প্রায় এক বছর কাটিয়েছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের নানা দিগন্ত খুলে যাওয়া ছাড়াও আরও অনেক রকম যুগান্তকারী আবিষ্কার হয়ে চলেছে আইএসএস-এ। সম্প্রতি পার্কিনসন ডিজিজের ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। মাধ্যাকর্ষণ বল নগণ্য, এমন স্থানে চাষবাস কী ভাবে করা যায়, সেই নিয়েও কাজ চলছে মহাকাশ স্টেশনে।
সম্প্রতি মহাকাশ স্টেশন নিয়ে আরও একটি মজার তথ্য সামনে এসেছে। মার্কিন এক প্রসাধনী সংস্থা- এস্টি লডার তাঁদের বিউটি প্রোডাক্ট পাঠিয়েছে মহাকাশে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশযান ব্যবহার করা হয়েছে এর জন্য। সেই প্রোডাক্ট ব্যবহার করে মহাকাশচারীরাই তাঁদের অভিজ্ঞতা ক্যামেরাবন্দি করবেন।
এস্টি লডার এর নাইট রিপেয়ার সিনক্রোনাইজড মাল্টি রিকভারি কমপ্লেক্স ক্রিম পাঠানো হয়েছে মহাকাশে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বিউটি প্রোডাক্টের বাজার ধরাই এই প্রসাধনী সংস্থার আসল লক্ষ্য। ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০-তে পৃথিবী থেকে রওনা হয়েছে এস্টি লডার-এর শ্যুটিং টিম। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছে ৩ অক্টোবর। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্ররীর সঙ্গে পাঠানো হয়েছে এই ক্রিমও।